মহেশখালীতে এক ভন্ড বৈদ্য গ্রেফতার

সৈয়দ মোস্তফা আলী
মহেশখালীর হোয়ানক এলাকার আলোচিত সমালোচিত ভন্ড বৈদ্য বাদশা জনতা গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে জনতা। জানা গেছে উপজেলার হোয়ানক ইউনিযনের ফকির খালী পাড়ার এলাকার মৃত জমির উদ্দীনের পুত্র মোহাম্মদ হোছেন প্রকাশ ভন্ড বাদশা বৈদ্য দীর্ঘদিন ধরে
মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় তিনি ঘোপনে ভুয়া  বৈদ্য চিকিৎসা দিয়ে এলাকায় সাধারন মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে ছিল। তবে এর আড়ালে তিনি চিকিৎসার নামে ভন্ডমী করে সাধারন মানুষ কে প্রতারিত করে যাচ্ছে । তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই বৈদ্য সম্প্রতি সময়ে হোয়ানক ইউনিযনের পদ্মা পুকুর পাড়া এলাকার মৃত হাজী ফজল করিমের পুত্র আবুল কালাম প্রকাশ লালু ও তার আপন ভাই আবু তাহের এবং তাদের স্ব-পরিবার কে যাদু টুনার মাধ্যমে পাগল করে হত্যার উদ্দ্যেশে সকলের অজান্তে লালুর আঙ্গিনায় গত ৪ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে তাবিজ পুতে রাখার সময় যাদু টুনার সকল সরঞ্জমাদী সহ হাতে নাতে ধৃত করে। পরে মুচলেখা দিয়ে ছেড়ে দেয় হয় বলে জানা গেছে। জানা যায়,গত ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর  হোয়ানক দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী স্থানীয় আবু তাহেরের  কন্যা সাইফুল তানজিন তিশা কে যাদু টুনা করে মেরে ফেলা সহ  অসংখ্য প্রমান রয়েছে এবং সে ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বিচার ও হয়েছে।  এলাকার লোকজনকে চিকিৎসা করার নাম দিয়ে যাদের হয়রানী করেছে তারা হলেন চট্রগ্রাম কলেজের ছাত্র মোস্তফা কামাল রুবেল,আবু তাহের প্রকাশ বাদল,বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের ছাত্রী অনিকা সুলতানা ঝুমু,হোয়ানক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র কামরুল হাছান সহ অসংখ্য লোকের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ হাবীবুর রহমান জানান, জনতাকতৃক  ধৃত বৈদ্য এর  বিরোদ্ধে জনগনের অসংখ্য ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন