খরুলিয়ায় গভীর রাতে বসতভিটা দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন-“রাত ২টায় ৫ জন পুলিশ সদস্য সাথে নিয়ে কিভাবে ঘুমন্ত মানুষদের উপর বর্বরতা চালায় ভুমিদস্যু শফিকআমাদের ঘরেতো কোন চোর-ডাকাতসন্ত্রাসী কিংবা মাদক ব্যবসায়ী নেই।  তারপরও কারো সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা আদালতের পরওয়না ছাড়া পুলিশ সাথে নিয়ে একটি বাড়িতে এভাবে বর্বরতা চালানো এবং পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া এলাকায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে গভীর রাতে বসতভিটা জবর দখলের চেষ্টা করেছে দূর্বৃত্তরা।  ভূমিদস্যু শফিক একই ইউনিয়নের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার মৃত আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে।  যিনি বর্তমানে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় বসবাস করেন।  এ নিয়ে ওই বসতভিটায় বসবাসকারী অসহায় পরিবারটির পক্ষে আসহাব উদ্দীন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া বাজার সংলগ্ন মাস্টারপাড়া এলাকার হাজী আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার খরুলিয়া মৌজার আর.এস. খতিয়ান নং-১২৪৪, আর.এস দাগ নং-৩১১১, দাগের ২৯ (ঊনত্রিশ) শতক জমিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিজেদের মালিকানাধিন বসতভিটা হিসেবে ভোগ-দখলক্রমে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে।  কিন্তু দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিকুর রহমানের লোলপ দৃষ্টি পড়ে অসহায় এই পরিবারটির ভিটেবাড়ির উপর।  জনশ্রুতি আছে-শফিক এলাকার একজন চিহ্নিত ভুমিদস্যূ, সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী বাহিনী সহকারে নিরীহ বহু মানুষের ভিটে বাড়ি দখল করার ঘটনা ঘটেছে।  আর প্রতিটি দখল প্রক্রিয়ার কৌশল হিসেবে প্রতিনিয়তেই এলাকার নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে নানা ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী উল্লেখপূর্বক হয়রানী করা হয়।  যার ধারাবাহিকতায় শফিক নতুন করে কু-নজর দেয় এই ভিটেবাড়ির উপর।
এদিকে মায়ের পৈত্রিক জমিতে ওয়ারিশী সম্পত্তি হিসেবে বসবাসরত জমি রক্ষা এবং গভীর রাতে সন্ত্রাসী শফিকের নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত অন্যায়ভাবে উক্ত বসতভিটা দখলের পায়ঁতারা থেকে রেহায় পেতে হামলার ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়ে শংকিত পরিবারের পক্ষে পূর্বেই আসহাব উদ্দিনের মা সাজেদা খানম বাদী হয়ে কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতে ভুমিদস্যু শফিকুর রহমান আরো অনেকের বিরুদ্ধে বি.এস.সংশোধনী মামলাসহ অপর মামলা নং-১৮৯/২০১৬ ইং দায়ের করেন।
কিন্তু সম্প্রতি ব্যক্তি বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে উক্ত বসতভিটা জবর দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি দিতে থাকে।  এর ধারাবাহিকতায় ৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক ২টার দিকে শফিকসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন বসভিটায় গিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চষ্টা করে।  এমন কি ভিটে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে না গেলে সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় শফিক।
পরিবারটির অভিযোগ-শফিক যখন দখল চেষ্টাকালে হামলা চালাচ্ছিল তখন রহস্যজনকভাবে একদল পুলিশ সদস্যও শফিকের সাথে ছিলেন। আর বারবার বচাঁও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও মুর্তিরমতো দাঁড়িয়ে থাকা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী পুলিশ সদস্যগণ কোন ধরনের সহযোগিতা করেননি।
সন্ত্রাসী শফিক পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ সবাইকে হুমকি ধমকি দিচ্ছিলো তখন নিরব দর্শকের ভুমিকায় ছিলো পুলিশ। এদিকে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বিনয়ের সাথে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন-“রাত ২টায় ৫ জন পুলিশ সদস্য সাথে নিয়ে কিভাবে ঘুমন্ত মানুষদের উপর বর্বরতা চালায় ভুমিদস্যুরা...? আমাদের ঘরেতো কোন চোর-ডাকাত, সন্ত্রাসী কিংবা মাদক ব্যবসায়ী নেই। তারপরও কারো সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা আদালতের পরওয়না ছাড়া পুলিশ সাথে নিয়ে একটি বাড়িতে এভাবে বর্বরতা চালানো এবং পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।
বর্তমানে অভিযোগকারী আসহাব উদ্দিন ও তার পরিবার চরম অতংকিত ও উৎকন্ঠায় দিনাতপাত করছে। পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায়ও প্রশাসনের উর্ধতন মহলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

২টি মন্তব্য: