কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে বিভিন্ন দপ্তরের
২৪ টি
রেষ্ট হাউজের
মধ্যে প্রায়
১২ টি
রেষ্টহাউজ এখন আবসিক হোটেল
মোটেলে পরিণত
হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিরা প্রতিবছর
বিপুল টাকা
পর্যটকদের কাছ থেকে আদায় করলেও
সরকারের রাজস্ব
খাতে যাচ্ছেনা
এক টাকাও।
কক্সবাজারে বিভিন্ন দপ্তরের
২৪ টি
রেষ্ট হাউজের
প্রায় ১২
টি এখন
বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানে পরিণত হয়েছে।
পর্যটকদের ভাড়া দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারিরা
বিপুল পরিমাণ
টাকা আয়
করলেও হিসাবে
দেখানো হচ্ছে
বছরের অধিকাংশ
সময় খালি। এতে
সরকার পাচ্ছে
মাত্র সংশ্লিষ্ট
দপ্তরে আগত
অতিথিদের নামমাত্র
নির্ধারিত ভাড়া। সুত্রে জানাযায়,
কক্সবাজার সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রে ৫০ জন
লোক থাকার
মত ৪
টি কক্ষ,
টিএন্ডটি রেষ্ট
হাউজে শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত ৩ টি, সাব মেরিন
কেবল ল্যান্ডিং
স্টেশন সংলগ্ন
রেষ্ট হাউজে
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
৫ টি,
মোটেল রোড়ের
এফ আর
আই রেষ্ট
হাউজে ২
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিতসহ ৪ টি, লাবণী পয়েন্টে
বন বিভাগ
রেষ্ট হাউজে
২ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৪
টি,মোটেল
রোড়ে এল
জি ই
ডি রেষ্ট
হাউজে ২
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৪ টি, সরকারি
কলেজের সামনে
পল্লী বিদ্যুৎ
রেষ্ট হাউজে
২ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি, পানি
উন্নয়ন বোর্ড়ে
রেষ্ট হাউজে
২ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি, বিদ্যুৎ
উন্নয়ন বোর্ড
রেষ্ট হাউজে
৪ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৬
টি, সড়ক
ও জনপথ
বিভাগের কলাতলী
হিলটপ পরিদশন
বাংলোতে ৬
টি, একই
প্রতিষ্টানের মোটেল রোড়ের রেষ্ট হাউজে
১ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি, শিক্ষা
প্রকৌশল বিভাগের
রেষ্ট হাউজে
১ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি, জেলা
মাধ্যমিক শিক্ষা
মাধ্যমিক অফিসের
রেষ্ট হাউজে
২ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি, গণপূর্ত
বিভাগের রেষ্ট
হাউজে ১
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ২ টি, জেলা
পরিষদ ডাক
বাংলোতে ৭
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিতসহ ১১ টি, জন স্বাস্থ্য
বিভাগের রেষ্ট
হাউজে ২
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৫ টি, বিসিক
রেষ্ট হাউজে
১ শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৩ টি, খাদ্য
বিভাগের রেষ্ট
হাউজে ১
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৩ টি, বি
আই ডাব্লিউ
টি এ
রেষ্ট হাউজে
২ টি,
পারমানবিক শক্তি কমিশন রেষ্ট হাউজে
২ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৩
টি,আনসার
ভিডিপি রেষ্ট
হাউজে ১
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৩ টি, লাবণী
পয়েন্টে বিজিবি
রেষ্ট হাউজে
১ টি
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত
সহ ৫
টি, সিএমএম
ইউ রেষ্ট
হাউজে ২
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত সহ ৬ টি, কৃষি
বিভাগের রেষ্ট
হাউজের ২
টি, ফায়ার
ব্রিগেড রেষ্ট
হাউজে শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত ২ টি ও পরিবেশ
অধিদপ্তর রেষ্ট
হাউজ রেষ্ট
হাউজে ৩
টি কক্ষ
রয়েছে।
তৎমধ্যে জেলা পরিষদের
প্রশাসক নিয়োগ
হওয়ার পর
কক্ষ গুলো
ভাড়া দেওয়া
বন্ধ রয়েছে
এবং বিজিবি
পরিচালিত রেষ্ট
হাউজ চলছে
নিয়ম মাফিক।
সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মরত
এক চতুর্থ
শ্রেণির কর্মচারি
নাম প্রকাশ
না করার
শর্তে জানান,
একদিনও কোন
বেড খালি
থাকে না। বিভিন্ন
পর্যটককে ভাড়া
দেয় কর্মকর্তারা। যা আয় করে
এর এক
টাকাও আমাদের
দেয়না।
আমরা শুধু
খেটে মরি,
আর টাকা
কামায় স্যারেরা।
পরিচালক লীলা মুরং
জানান, একটি
কক্ষ ২৩০
টাকা ও
এক বেড
১১৫ টাকা
হিসাবে ভাড়া
আদায় করা
হয়ে থাকে। যে বেড গুলো
আছে তার
অর্ধেক ব্যাবহার
করে আমাদের
লোকজন।
কক্ষ ভাড়া
দিয়ে গোপন
রাখার বিষয়টি
সত্য নয়।
বিআইডাব্লিউ টি এ রেষ্ট হাউজে
অবস্থান করা
ফরিদুল আলম
জানান, ৩
দিন যাবত
এখানে আছেন
ভাড়া দিয়েছেন
৭ শত
টাকা।
একজন রিক্সা
চালাক কম
খরচে অধিক
সুবিধার কথা
বলে রেষ্ট
হাউজে নিয়ে
এসেছে।
চাঁদপুর থেকে আসা
আসলাম শেখ
জানান, আমরা
১৫ জন
ঢাকা থেকে
৩ দিনের
চুক্তির করে
পারমানবিক শক্তি কমিশনের রেষ্ট হাউজে
এসেছি।
ভাড়া ২
টি শীততাপ
নিয়ন্ত্রিত কক্ষসহ ৩ টি কক্ষের
ভাড়া দিয়েছি
৭ হাজার
টাকা।
তবে কোন
প্রকার রেজিষ্ট্রি
হয়নি।
আমাদের কাছ
থেকে কোন
স্বাক্ষরও হয়নি।
পারমানবিক শক্তি কমিশনে
ফোন করা
হলে একজন
কর্মকর্তা জানান, কক্ষ গুলো সরকারি
কর্মকর্তার বাইরে কাউকে দেয়া হয়না। তবে
তিনি নিজের
নাম পরিচয়
জানাতে অস্বীকৃতি
জানান।
কলাতলীর এক আবাসিক
হোটেল ম্যানেজার
নাম প্রকাশ
না করার
শর্তে জানান,
সরকারি রেষ্ট
হাউজ গুলো
অগ্রীম ভাড়া
নিয়ে থাকে
একটি সিন্ডিকেট। তারা
টমটম ও
রিক্সা চালকের
মাধ্যমে পর্যটকদের
রেষ্ট হাউজে
নিয়ে আসে। চালকরা
পায় একটি
লোভনীয় কমিশন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সরকারি
কর্মকর্তা হয়ে সরকারকে ফাঁকি দেওয়া
স¤পুর্ণ
বে-আইনি
কাজ।
অবিলম্বে এ
ব্যাপারে ব্যাবস্থা
নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন