শীতার্তদের পাশে দাঁড়ান : ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি

ফরিদুল মোস্তফা খান (আমাদের সময় ডটকম): শীতের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে কক্সবাজার ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধি। ফলে জেলার আট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ কক্সবাজারের প্রায়ই হাসপাতাল-ক্লিনিকে এখন প্রচন্ড রোগির ভিড়। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে শুরু করে গ্রামের ক্ষুদে ওষুধের দোকানেও বিরাজ করছে একই অবস্থা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভ্যাপসা গরমের পর আকস্মিক ঠান্ডা ও মৌসুম পরিবর্তিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়।
শুধু চলতি বছর কেন প্রতিবছরই এরকম পরিস্থিতিতে শীতজনিত রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব হয়। সাধারণত আমরা এটিকে মৌসুমী রোগব্যাধি বললেও এতে আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। নিজের প্রতি একটু যতœশীল হলেই এ থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. মূর্তজা বেগম জানিয়েছেন, মৌসুম পরিবর্তনের সময়টুকুতে সাধারণত মা, শিশু ও বৃদ্ধদের রোগব্যাধি একটু বেশি হয়। শিশুদের নিউমোনিয়া এবং বয়স্ক হাঁপানি রোগিদের সমস্যা এসময় প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে সকলের উচিত নিজের প্রতি যতœশীল হয়ে জীবন-যাপন, বিশেষ করে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের শরীরে যাতে অতিরিক্ত ঠান্ডা না লাগে সেজন্য গরম কাপড়-চোপড় ব্যবহার প্রয়োজন। 
কক্সবাজারের বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অরূপ দত্ত বাপ্পী পরামর্শ দিয়েছেন, সকল মায়েরা যেন নিজের সšত্মানের প্রতি বিশেষ যতœশীল হন। যেমন, শিশুকে সময়মত বুকের দুধ সেবন ও মৌসুমের সাথে তাল মিলিয়ে কাপড়-চোপড় পরিয়ে রাখেন। 

এদিকে আকস্মিক ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো খুব জোরেসুরে শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি না হলেও চলমান ঠান্ডা ও মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। তৎমধ্যে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক জীবন-যাপন করছেন জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা বিশেষ করে শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। তাদের পরিবারগুলোতে শীতবস্ত্র সংকটের কারণে কেউ কেউ ভিতরে চটের ব¯ত্মা বাইরে কাপড় মুড়িয়ে নিজেদের তৈরি করা শীতবস্ত্র ব্যবহার করছেন। দরিদ্র পরিবারের বয়স্ক হাঁপানি রোগিদের অবস্থা আরো কাহিল। কাজেই চলমান পরিস্থিতিতে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে আমাদের সকলের এগিয়ে উচিত। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন