থাইল্যান্ডে দালালের বন্দিশালায় শতাধিক মালয়েশিয়াগামী যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনার হরিণ ধরার আশায় উখিয়া-টেকনাফ উপকূলের সাগর পথ দিয়ে অবৈধ পন্থায় মালয়েশিয়া যাত্রা কোন মতেই থামানো যাচ্ছে না। উখিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ও রোহিঙ্গা শিবির থেকে শতাধিক মালয়েশিয়াগামী যাত্রী থাইল্যান্ডের দালালের এক বন্দিশালায় দালালের চাহিদামত টাকা প্রদান করতে না পারায় ওই সব যাত্রীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের ডাক্তার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে জুয়েলও রয়েছে ওই বন্দিশালায়। থাইল্যান্ড থেকে ফোনের মাধ্যমে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ এলাকার এক আদম পাচারকারী দালালকে ১লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রদান করার জন্য তার বাবাকে জানিয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। এভাবে উখিয়া-টেকনাফে ১৩৫ জন দালাল কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত তাদের নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করে প্রলোভন দিয়ে মালয়েশিয়া আদম পাচার করে যাচ্ছে বলে জনশ্র“তি থাকলেও ওই সব দালালদের পাকড়াও করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গরজ মনে করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তারা দালালদের সাথে আতাঁত থাকায় মালয়েশিয়া আদম পাচার অব্যাহত রয়েছে। টেকনাফ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার শাহপরীরদ্বীপ এলাকা দিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে বিজিবি সদস্যরা ৬ জন ও গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় দমদমিয়া বিজিবি চেকপোষ্টের সদস্যরা টেকনাফগামী যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ১৫জন মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে আটক করেছে।
আটককৃতদের মধ্যে ৮ জনের বাড়ী যশোর, ৪ জনের বাড়ী ঝিনাইদহ, ৩ জনের বাড়ী নরসিংদী, ১ জনের বাড়ী বরিশাল ও ৫ জনের বাড়ী বাঘেরহাট জেলায়। টেকনাফ ৪২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কামরুল হাসান জানান, আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কাদের মাধ্যমে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মুঠোফোনের মাধ্যমে দালালের যোগাযোগ রক্ষা করে চলায় তারা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তবে বিজিবি সদস্যরা ওইসব দালালদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন