সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের মরণ নেশা ইয়াবা ট্যাবলেটের জনক ইয়াবার সম্রাট আলহাজ্ব সাইফুল করিম

আবুল কালাম আজাদ
সীমান্ত জনপথ শিক্ষা-দীক্ষায় পিছপা হয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে যখন যুবক-যুবতী স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ গামী হচ্ছিল এমন সময়ে মিয়নমারের মন্ডু হাইস-সোরাতা গ্রামের বর্তমানে টেকনাফ পৌর এলাকার শিলবনিয়া পাড়া গ্রামের ডাঃ হানিফের বড় পুত্র মুন্না মরণ নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার
থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে প্রবেশ ঘটিয়ে এদেশের কোমলমতী যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ইয়াবা বা ’ডব্লিউ ওয়াই’ নামে ট্যাবলেট বাংলাদেশে কেহ চিনত না, যখন সাইফুল করিমের বড় ভাই মুন্না ট্যাবলেট নিয়ে একটি ফার্মেসিতে ৭/৮ বৎসর আগে আইন প্রয়োগকারী হাতে ধরা পড়ে তখন হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেটকে চিনতে আরম্ভ করে। গেল বিএনপি সরকারের আমলে যখন বড় ভাই ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আটক হয় তখন তার হাল ধরেন তারই ছোট ভাই বর্তমানে ইয়াবার সম্রাট সাইফুল করিম। সু-চতুর সাইফুল করিম প্রথমে বাণিজ্য ব্যবসার নামে ২০০৩ সালে টেকনাফ স্থল বন্দরে জে এফ এন্টারপ্রাইজ সি এন্ড এফ শুরু করেন। তখনকার আমলে বিএনপি সরকার সেহেতু ইয়াবা ব্যবসা ঠিকে রাখতে গেলে শক্ত ব্যক্তিকে হাতে রাখা দরকার মনে করে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক তখনকার সময়ের পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহর সাথে সখত্যা গড়ে তোলেন। তাদের সখত্যা এমন পর্যায়ে পৌছে যে শেষ পর্যন্ত আব্দুল্লাহর ছোট বোন সাইফুল করিম বিয়ে করে ঐখানে তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে যবনিকা ঘটে। এরপর সু-চতুর সাইফুল করিম টেকনাফ স্থল বন্দরের শীর্ষ পর্যায়ের বাণিজ্য ব্যবসায়ী মিয়ানমারের নাগরিক সৈয়দ করিমের সাথে সখত্যা গড়ে তোলেন। এ সখত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অনুসন্ধানে জানা গেছে বৈধ বাণিজ্যের সাথে সু-চতুর সাইফুল করিম ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান পাঠায়। সৈয়দ করিম ইহা টের পেয়ে সাইফুলের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে। এরপর সাইফুল তার ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেই টেকনাফ পৌর এলাকায় আলহাজ^ আব্দুল গনি মার্কেটে একটি বিশাল ভবন ভাড়া নিয়ে আলিশান সাইনবোর্ড লাগিয়ে বাণিজ্যের নামে ট্যাবলেটের ব্যবসা শুরু করে। টেকনাফের বিজিবি এ ব্যবসার টের পেয়ে তাকে ব্যাটালিয়ানে নিয়ে যায়। সেখানে সে এ ব্যবসা আর কোনদিন করবে না মর্মে মুচলেখা দিয়ে চলে আসে। এরপর ও তার ইয়াবা ব্যবসা থেমে থাকেনি। আড়ালে অবডালে চলতে থাকে। এর মধ্যে চলে আসে বর্তমান সরকার । সু-চতুর সাংসদ সাইফুলের এ অবৈধ ব্যবসা করছে জানতে পেরে বারণ করলেও সাইফুল বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নামকে ওয়াস্তে দলের নাম দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালকে রাজপুত্রের মত ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তার ব্যবসা মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সে নিজেই বিজিবি পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সোর্স সেজে তার বিপক্ষের ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে ধরিয়ে দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। সে নিজেই কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান দেশের অভ্যান্তরে চালান দিচ্ছে। সু-চতুর ইয়াবা সম্রাট কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে সংবাদ কর্মী দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি জেলার শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা মাসোহারা দিয়ে নিজের আয়ত্ব্ েরেখেছেন, যাতে ট্যাবলেটের কথা তার কথা প্রকাশ না পায়। এছাড়া সে টেকনাফ উপজেলাসহ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তিদেরকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে তার ব্যবসা নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তার ঘনিষ্ট একটি সূত্রে জানিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন