ফেসবুকের একটি সেবা বন্ধ


তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: ফেসবুক নিরবে তাদের একটি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে৷ আগে যেকেউ চাইলে ফেসবুক প্রোফাইল বা পাতার মাধ্যমে তাদের অনুসারীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারতেন৷ কিন্তু এখন কি আর প্রশ্ন করা যাচ্ছে?
বিশ্বাস না হলে একবার নিজেই পরখ করে দেখুন৷ ফেসবুকের ‘স্ট্যাটাস বারে' প্রশ্ন করার ফিচারটি কি খুঁজে পাচ্ছেন? পাবেন না৷ কারণ ফেসবুক সেটা নিরবে বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফেসবুকের এই কাণ্ডে অনেকেই অবাক হয়েছেন৷ কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন৷ এই বিষয়ে ফেসবুক নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে৷

ফেসবুকের অনানুষ্ঠানিক ব্লগ হিসেবে পরিচিত অফেলসবুক ডটকম-এর প্রশ্নের জবাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘‘আমরা বিজ্ঞাপনী পণ্য বা পাতার টুল হিসেবে প্রশ্ন করার সুযোগ আর দিচ্ছি না৷''

ILLUSTRATION - Eine junge Frau schaut sich am Dienstag (16.11.2010) in Dresden eine Seite der Internetcommunity Facebook auf einem Laptop an. Facebook hat am Dienstag angekündigt SMS, Chatnachrichten und Emails zusammenzuführen. Auch Facebook-Mitglieder bekommen künftig eine E-Mail-Adresse, aber im Kern geht es um mehr: Das Online-Netzwerk will zu einer zentralen Kommunikationsplattform werden. Foto: Oliver Killig dpa/lsn +++(c) dpa - Bildfunk+++ ফেসবুকের ‘স্ট্যাটাস বারে’ প্রশ্ন করার ফিচারটি কি খুঁজে পাচ্ছেন?

তবে ‘‘পাবলিক কন্টেন্ট'' তৈরি করছে এরকম পাতা, উদাহরণস্বরূপ সংবাদ সংস্থাগুলোর পাতায় প্রশ্ন কি ধরনের গুরুত্ব বহন করে সেসম্পর্কে এখনও গবেষণা করছে ফেসবুক৷ আর তাই আপাতত একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ফেসবুকে প্রশ্ন ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাবে৷

সহজ করে বলতে গেলে, ফেসবুকের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে, ফেসবুকের সাধারণ ব্যবহারকারীরা আর প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন না৷ আবার এই সেবা পুরোপুরি মৃত ঘোষণা করছে না প্রতিষ্ঠানটি৷ শুধুমাত্র গবেষণার জন্য প্রশ্ন ফিচার থাকছে একটি নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর কাছে৷

উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে এক বিলিয়নের বেশি৷ ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন নাগরিক মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর কয়েক বন্ধু এই সাইটটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ সাইটটির পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্কও বাড়ছে৷ বিশেষ করে ফেসবুক তাঁর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কতটা সক্রিয়, সেই প্রশ্ন এখন সর্বত্র৷