ইলিয়াস আলী ভারতের কারাগারে!


দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন বলেই বিশ্বাস করেন তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনেরা। সম্প্রতি নিখোঁজ সুখরঞ্জন বালী ভারতে একটি কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধারনা আরও দৃঢ় হয়েছে ,একইভাবে ইলিয়াস আলীকে ভারতে গুম করে রাখা হয়েছে। এছাড়া নিখোজ হওয়ার পর ইলিয়াস আলীর মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে কল আসার ব্যাপারটি কোনো সুরাহা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ।



ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোনো তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরিকল্পিতভাবে তাকে গুম করা হয়েছে বলে তার স্বজন ও নেতাকর্মীদের অভিযোগ।তবে কারা ইলিয়াসকে গুম করেছে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিলেও দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি সরকারের বিশেষ একটি বাহিনীর কাছে তিনি আটক আছেন।যদিও এর কোনো সত্যতা আজও পাওয়া য়ায় নি। তবে গুম হওয়া সুখরঞ্জন বালীকে ভারতের কারাগাওে বন্দি হিসেবে পাওয় গেছে এই সংবাদ প্রকাশের পর বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন ইলিয়াস আলীকেও ভারতে আটক রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর মামলার অন্যতম সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী গত ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল চত্বও থেকে নিখোঁজ হন। অভিযোগ উঠেছিল সরকারের নিরাপওা বাহিনী থাকে গুম করেছে। এদিকে এম ইলিয়াস আলী নিখোজ হওয়ার পর তার মোবাইল থেকে বারবার বিভিন্ন ব্যক্তির ফোনে ফোন আসাকে কেন্দ্র করে সিলেটব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকেই মনে করেন ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তারা এসব ফোন কলের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে যে তিনি বেচেঁ আছেন। সে সঙ্গে বিশেষ বাহিনী ইলিয়াস আলীকে গুম করলে তার ফোন সচল থাকত না। তাকে অনভিজ্ঞ কেউ গুম করেছে এটি বোঝানোর কৌশল হিসেবে ইলিয়াস আলীর ফোন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব কল করা হতে পারে।
বিশ্বস্ত সুএ মতে ইলিয়াস আলী জীবিত আছেন এমন ধারনা তার পরিবারের সদস্যরা পেয়েছেন সরকারের বিশেষ একটি বাহিনীর কাছ থেকেই। এ ধারনার প্রেক্ষিতেই ইলিযাস আলীর ভাই আসকির আলী ও স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তাহসিনা রুশদির লুনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি । তবে তিনি মনে করেন, ইলিয়াস আলী এখনও জীবিত আছেন।

আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রেখে তিনি বলেন নিশ্চয়ই ইলিয়াস আলী সুস্থ শরীরে ফিরে আসবেন। এজন্য তিনি সরকারের ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন। এ পর্যন্ত ইলিয়াস আলীর ফোন থেকে যে সব ফোনে কল এসেছে সে সব মোবাইল ইলিয়াস আলীর সদস্যদের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামীণফোনের একজন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বলেন, সরকারের কোন প্রভাবশালী চাইলে। এসব তথ-রেকর্ড মুছে ফেলতে পারে। আবার ভালো উদ্দেশ্য থাকলে এসব তথের ভিত্তিতে ফোনের অবস্থান নির্ণয় করে ফোন ব্যবহারকারিকে আটক করা সম্ভব । তবে ফোনের এসব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে কিনা জানা যায় নি । এ বিষয়ে র‍্যাব ৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা মাওলা বলেন এটা তথ্যপ্রযুক্তির বিষয় এতে আমাদের কিছুই করার নেই।