মরিচ্যা কোথায় ?

নুরুল আজিম: মরিচ্যা কোথায় ? কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় মরিচ্যা হারিয়ে গেছে। প্রমাণ সাইজের আস্ত কাঁচামরিচ গুঁড়ো বেসনের খামিরে চুবিয়ে ডুবোতেলে ভেজে লাল করে তৈরী করা এ মরিচ্যা  রমজান মাসে ভোজনরসিক বাঙ্গালী মুসলিমদের প্রতিদিনের
ইফতারীর অত্যাবশ্যকিয় আইটেম এ মরিচ্যা। ‘মরিচ্যা’ চলতি রমজান মাসে ঈদগাঁওতে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ঈদগাঁও বাজারের অভিজাত হোটেল রেস্তোরাসহ অপরাপর ইফতার তৈরী কারক প্রতিষ্টান/ব্যক্তি রোজ বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে চনা, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, সমুছা, হালিম, জিলাপী, কাবাব ও সেমাইসহ ইত্যাদি  রকমারী ইফতারীর পশরা সাজিয়ে বসলেও এসব ইফতারীকে মজাদার করার আইটেম ‘মরিচ্যা’ তৈরী করছেন না কেউ। ফলে খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোজাদাররা।
ইফতার তৈরী কারক ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রমজানের শুরু থেকেই কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে মজাদার নাস্তা ‘মরিচ্যা’ তৈরী করে পোষাবে না। তাই তারা অন্যসব ইফতারী তৈরী করে বিক্রি করলেও মরিচ্যা তৈরী করছে না। উল্লেখ্য ৩/৪ বছর আগে রমজান মাসে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেগুন দিয়ে তৈরী ‘বেগুনী’ ইফতারীর আইটেম থেকে বাদ গিয়েছিল। তখন আলুর দাম কম থাকায় বেগুনের পরিবর্তে আলো দিয়ে একই রকম ইফতারী তৈরী করা হয়েছিল। বেগুনীর পরিবর্তে এর নাম হয়েছিল ‘আলুনী’।