ইব্রাহীম খলিল
কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। গত কয়েক দিনের গরমে চরম দূর্ভোগ নেমে এসেছে মানুষের মাঝে। এতে করে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ বাড়ছে নানা রোগ-বালাই।
প্রচন্ড গরমে রোগ বালাই থেকে রক্ষ পেতে খাবারের বিষয়ে যতœশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আবহাওয়া অফিসের গরমের তীব্রতা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। জৈষ্ট্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অঝোর ধারায় যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তা আষাঢ় শুরুর সাথে সাথে আর দেখা নেই। বৃষ্টির না হওয়ার সাথে বাড়ছে সূর্য্যরে তাপও। প্রচন্ড দাবদাহে ফলে নিত্য নৈমত্তিক কাজ কর্মে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। গরমে উষ্টাগত প্রাণে একটু প্রশান্তির খুঁজে কেউ বা আশ্রয় নিচ্ছে গাছের নিচে, কেউ বা বৈদ্যুতিক পাখার নিচে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া তীব্র দাবদাহের মধ্যে কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গরমের তীব্র বাড়ার সাথে সাথে বাজারের দোকান গুলোতে ঠান্ডা পানিয় পান ও ফলমূল খাওয়া বেড়ে গেছে। ঈদগড়ের উদয়মান তরুণ সমাজ সেবক এস.এম রেজাউল করিম জানান,গত কয়েক দিন ধরে গরমের তীব্রতা যেভাবে বেড়ে গেছে তাতে মনে হচ্ছে মানুষ মরেই যাবে। তীব্র গরমে শরীরের সবকিছু বেরিয়ে যাবার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে গরম থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে চিকিৎসকরা বলছেন প্রচুর পরিমাণ স্যালাইন ও ডাবের পানি খেতে। চিকিৎসকরা আরও জানান, গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় মানুষের হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই গরমে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। অন্যদিকে বাহিরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের ব্যাপারে বেশি সর্তক থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন