সবার জন্য বয়ে আনুক অফুরন্ত খুশি

ফরিদুল মোস্তফা খান: এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতরের যে উৎসব, সে উৎসব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং ধর্মীয় হওয়া সত্ত্বেও সর্বজনীন। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সমাজ যেমন নানা আনুষ্ঠানিকতায় উৎসব উদযাপন করে, তেমনি সমাজের অন্য ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণী-পেশার মানুষও এ উৎসবের অংশীদার হয়ে যায়। কেননা, ঈদুল ফিতর পোশাক-আশাকের ফ্যাশন থেকে শুরু করে কেনাকাটায়, সংবাদমাধ্যম ও গণমাধ্যমের ব্যাপক আয়োজনে নানা আনুষ্ঠানিকতায় হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেনে এমন একপর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা গোটা সমাজকেই স্পর্শ করে।
ফলে ঈদুল ফিতর উদযাপনকে কেন্দ্র করে সারাদেশ বিশেষ করে কক্সবাজারে যে সর্বজনীন উৎসাহ-উদ্দীপনা আর প্রস্তুতি দেখা যায়, তা আর কোনো উৎসব-পার্বণেই দৃশ্যমান নয়। এমন একটি বৃহত্তম সর্বজনীন উৎসবে যখন গোটা দেশের মানুষ আনন্দে মেতে থাকার কথা, তখনই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে। সবার মনে একটাই উৎকণ্ঠিত জিজ্ঞাসা, ঈদের পরে কী? সংঘাতে অশান্ত হবে দেশ? আবারও ভয়াবহ হানাহানি! এরই মধ্যে আবার জামায়াত দু’দিনের হরতাল ঘোষণা করেছে ঈদের পর। এদিকে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠান পদ্ধতির প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বিরাজমান সংকট নিরসনে কোনো রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষণ এখনও দৃশ্যমান নয়। পরিশেষে দৈনিক কক্সবাজারবাণীর অগণিত পাঠক বিজ্ঞাপন দাতা, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি রইল ঈদের আন্তরিক শভেচ্ছা ‘ঈদ মোবারক’। আশা করি ঈদের মহিমায় মহিমান্বিত হবে সকলের জীবন। ঈদ সবার জন্য বয়ে আনুক অফুরন্ত খুশি।

লেখক-
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক কক্সবাজারবাণী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন