অর্ধশতাধিক বিএনপি-জামায়াত নেতার খুঁজে পুলিশ

জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতিসহ আটক-৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজপথে অবরোধ, হরতালসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন সহিংস কর্মসূচীতে সক্রিয় থাকা বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতার খুঁজে মাঠে নেমেছে পুলিশ। সাদা পোশাকের পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও এসব নেতার গতিবিধির উপর নজর রাখছেন। গত রবিবার মধ্যরাত থেকে এসব নেতাদের কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে আটকের অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক দলের কক্সবাজার জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুর রহমান, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকসহ ৬ বিএনপি সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। গতকাল সোমবার গাড়ি ভাংচুরের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একই সাথে রবিবার গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের একাধিক বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। কক্সবাজার জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি পৌরসভার প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক স¤পাদক পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক আমীর আলী, জেলা ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম মুকুলসহ বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। তবে এদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানিয়েছে, হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে কক্সবাজারে সহিংসতা চালানোতে ইন্ধন এবং অংশগ্রহনের অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতার উপর গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এসব নেতা কক্সবাজারে অবরোধে গাড়ি ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরন, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, সড়কের গাছ কেটে ব্যারিকেডসহ নানা সহিংস কর্মকান্ডে জড়িত। গত তিন দিন ধরে কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার থেকে খরুলিয়া পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় রাতে প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে ফেলে সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এসময় অবরোধকারীরা পুরো সড়কই কেটে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিপুল সংখ্যক পুলিশ নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দেয়। এসব নেতাদের কেউ কেউ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিরও চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গুজব ছড়িয়েও তারা মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ। এসব বিষয়কে সামনে রেখে সরকার বিরোধী যে কোন সহিংস আন্দোলন মোকাবেলায় আইনশৃংখলা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন এমন নেতাদের উপরও নজরদারী রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর। যে কোন মুহুর্তে নেতৃস্থানীয় এসব নেতা গ্রেফতার হতে পারেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, রাজপথে সহিংস আচরণ ও নাশকতা করলেই গ্রেফতার করা হবে। নাশকতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন