টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ স্থল বন্দরে রাজস্ব আয়ের অন্যতম মাধ্যম মিয়ানমার থেকে পণ্যের মধ্যে মাছ ও কাঠ আমদানি সবার শীর্ষে হলেও সাম্প্রতিক সময়ে মাছ আমদানি তুলনামুলক হ্রাস পেয়েছে। এ দুই আমদানি পণ্য থেকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পেয়ে আসছে। ১৯৯৭ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে মাছ আমদানি করছেন আমানত কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী আশরাফ হোসেন মাসুদ। স্থল বন্দরে আমানত কর্পোরেশনের মাছ আমদানির দায়িত্ব নিয়োজিত ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানান, কেরুনতলীতে স্থল বন্দর চালু হবার পর মাছ আমদানিতে রের্কড সৃষ্টি করেছিল। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পেয়েছিল। কিন্ত বর্তমানে মাছ আমদানি হ্রাস পেয়েছে। এখন প্রতি মাসে স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ২/৩টি কার্গোবোট মাছ আমদানি হচ্ছে। যা অতীতের তুলনায় অতি নগন্য।
টেকনাফ স্থল বন্দর পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখা যায়, আমানত কর্পোরেশনের আমদানীকৃত মিয়ানমার থেকে ৬৮ টন মাছ বোঝাই একটি ট্রলার জেটিতে ভিড়ে। এ সময় টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ছৈয়দ, হুমায়ুন মোর্শেদ আমদানিকৃত মাছ পরীক্ষা করার জন্য ফরমালিন ডিজিটাল মেশিন দিয়ে পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। মাছ আমদানি ক্রমান¦য়ে হ্রাস পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, মাছ আমদানিকারকেরা মাছ আমদানিতে তেমন লাভবান হচ্ছেননা।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ আমদানিতে তারা কোন মতে ঠিকে আছেন। পথে পথে বিভিন্ন সংস্থার হয়রানী এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে মাছ আমদানির ফলে মিয়ানমারের মাছ এর কদর কম এবং বাজার মূল্য পাচ্ছেননা মাছ আমদানিকারকেরা। এক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে।
অপর এক সূত্রে জানা গেছে, মাছ চাষে জড়িত মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদেও অনেকে মাছ চাষের পরিবর্তে ইয়াবা ব্যবসার সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে এ ব্যবসা মুসলমান ব্যবসায়ীর পরিবর্তে রাখাইন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাবার কারনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যে মাছ আমদানি হ্রাস পেয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন