কক্সবাজার সৈকতে প্যারাসুট দিয়ে গলাকাটা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এবার নতুন করে ‘প্যারাসুট’। স্যাটেলাইট ভিশন সি স্পোর্টস নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সৈকত এলাকায় এ প্যারাসুটের সংযোজন ঘটায়। তবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের গ্যাড়াকলে পড়ে প্যারাসুটের আনন্দ উপভোগ করতে পারছেনা অহরহ পর্যটকসহ স্থানীয়রা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠলেও এই প্যারাসুট বর্তমানে সৈকত এলাকায় খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
এই প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়ে মনের আনন্দ উপভোগ করছে দেশী বিদেশী পর্যটকসহ স্থানীয়রা। তবে প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়তে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বিনোদন প্রেমীরা। গত কয়েকদিন ধরে এ প্যারাসুট চালু হলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে এ প্যারাসুটের যাত্রা শুরু হতে দেখা গেছে। স্যাটেলাইট ভিশন সি ¯েপার্টসের কক্সবাজারের ইনচার্জ মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন জানান বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দেশ বিদেশ থেকে অনেক সময় লাখো পর্যটকের আগমন ঘটে।

কিন্তু সৈকতে এসে বালিয়াড়ি এবং সমুদ্র দেখা সাড়া তাদের আর কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। যে কারনে সৈকত এলাকা পর্যটকসহ স্থানীয়দের বাড়তি বিনোদনের অংশ হিসেবে এ প্যারাসুট সংযোজন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পর্যটকদের আনন্দ দিতে আমরা প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়ার ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। এটি কক্সবাজারে পর্যটনের জন্য একটি নতুন সংযোজন। আশা করি পর্যটকরা আমাদের প্যারাসুটের সাহায্যে বাড়তি আনন্দ পাবে। সংশ্লিষ্ট কো¤পানীর আরো একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা ¯িপড বোটের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় প্যারাসুট নিয়ে আকাশে উড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। পাঁচ-ছয় মিনিট সময়ের জন্য আকাশে উড়তে গেলে জনপ্রতি দুই/তিন হাজার টাকা নিচ্ছি। আর একসঙ্গে দুজন হলে তিন/চার হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পর্যটকরা আগ্রহ নিয়েই প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়ছেন। তবে প্যারাসুটের সাহায্যে পর্যটকরা আনন্দ পেলেও কিন্তু সকলের গনহারে অভিযোগ ওঠেছে। পর্যটক ও স্থানীয়দের অভিযোগ কয়েক মিনিট প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়তে কর্তৃপক্ষ যে হারে ২ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করছে তা পর্যটকদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে কয়েক মিনিটে ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করার মতো লোক বাংলাদেশে এখনো খুবই কম। সুতারাং যে হারে গলাকাটা ব্যবসা চলছে তা মোটামুটি পর্যায়ে আনা দরকার।

এ ব্যাপারে চট্রগ্রামের রাশেদ নামে এক পর্যটক জানান, আকাশে উড়ানোর নামে যে টাকা আদায় করা হচ্ছে তা পর্যটক কিংবা স্থানীয়দের অধিকাংশ মানুষের সর্মথের বাইরে। একই ভাবে সিলেট মৌলবি বাজার এলাকার আকাশ খান জানান, আমি আগে যতবার কক্সবাজার এসেছি ততবার সৈকতে এসে ¯িপডবোট, বিচ বাইক এবং ওয়াটার স্কুটারে চড়েছি। তবে এবার এসে আলাদা একটা বিনোদন পেয়েছি। তা হলোপ্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে উড়ার সুযোগ। এটি পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

তবে এ প্যারাসুটে উড়ার জন্য যে পরিমান লোকজনদের চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই পরিমান লোকজন উড়তে বা তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেনা। কারন কয়েক মিনিটে যে পরিমান আর্থিক ব্যয় হয় সেই পরিমান অর্থ নিয়ে কক্সবজার বেড়াতে আসার লোকজনের পরিমান খুবই কম। তাই এ ব্যবসায় যারা জড়িত আছে তাদেরকে অবশ্যই বিষয় গুলি বিবেচনা করা দরকার। অন্যতায় বাড়তি বিনোদনের নামে এ ব্যবসা বন্ধ করা দরকার। যে বিনোদন সকলের ইচ্ছা আকাংখা পুরোন করতে পারবেনা সেই বিনোদন না থাকায় ভালো।



আরো একাধিক লোকজন জানায়, পর্যটকসহ স্থানীয়রা আর্থিক অসুবিধার সম্মুখিন হয়ে এ প্যারাসুটের আনন্দ প্রকাশ কিংবা উপভোগ করতে পারবেনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন