সন্ত্রাস আতংকে হোয়াইক্যংয়ে ব্যবসায়ী পরিবার দিশেহারা ঃ বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারছেন না ২ সন্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিপথগামী নিজ স্ত্রী, শ্বশুর গোষ্ঠী ও গ্রাম্য ২০/২৫ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হতদরিদ্র এক ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকার উক্ত ব্যবসায়ী দু’সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবন যাপনও করছেন। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির কারণে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারছেন না প্রিয় দুই সন্তানকে।
এদের নির্মম নির্যাতনে রাস্তায় চলাফেরাও করতে পারছেন না ওই ব্যবসায়ী। এই অবস্থায় সৃষ্ট দূর্ভোগ লাঘব ও আইনগত সহায়তা পেতে তিনি পুলিশ সুপার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তার তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মঙ্গলবার প্রতিবেদকের অফিসে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজের এই দূর্ভোগের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে প্রতিকারের আশায় অভিযোগ সহকারে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন উক্ত হতভাগ্য ব্যবসায়ী। তিনি জানান, খারাংখালী এলাকার হাজী ফরিদুল আলমের ব্যবসায়ী পুত্র আমি মো: জুবাইর। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাহিনা, মো: শাহজাহান, মাহমুদা শামীমা, সাজু, হ্নীলা পানখালী এলাকার জালাল উদ্দিন, আবছার, গুরা পুতিয়া ও নয়া বাজারের দিলদার আহমদ প্রকাশ বাইল্যাসহ তাদের দলের ২০/৩০ জন অত্যাচারির ভয়ে আমি তটস্থ রয়েছি। তারা নিজেরা ইয়াবা ব্যবসা, পাচার, এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ হরেক অপকর্ম করেন- করেন আমার স্ত্রীটিও ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে দিয়ে ভয়ংকর মাদক ইয়াবা বহন করাচ্ছে। এই চক্রে আমার চাচা শ্বশুর জালাল, আবছার ও গুরা পুতিয়াসহ এলাকার বাঘা বাঘা সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকায় আমি কিছুই করতে পারছি না।
ব্যবসায়ী জুবাইর আরো অভিযোগ করেন, এদের বিরুদ্ধে আমি স্থানীয় উপজেলা পরিষদে বিচার দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। সন্ত্রাসীরা শক্তিশালী হওয়ায় তারা স্থানীয় ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ বাঙালির বিচারও মানেননি। তাই ইউনুছ বাঙালি কোন উপায় অন্তর না দেখে এদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার পেতে আমাকে লিখিত একটি কাগজ দিয়েছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য আমি অশিক্ষিত মানুষ এই কাগজ নিয়ে কি করব? কার কাছে গিয়ে এদের অত্যাচার নিপীড়নের প্রতিকার পাব? তা ভেবে চোখে-মুখে পথ না দেখায় কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী দরখাস্ত করেছি। 
সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনে অতিষ্ট ব্যবসায়ী জুবাইর উক্ত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজন থেকে ৬ বছর পূর্বে আমি ৪টি একাশি গাছ ও দু’টি কাঁঠাল গাছ কার্টিজ পেপারে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। বর্তমানে গাছগুলো কেটে ফেলার উপযুক্ত সময় হওয়ায় আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গাছগুলো কাটতে গেলে আমার লোভী শ্বশুর পক্ষ কোন অবস্থায় তা কাটতে দিচ্ছে না। তারা বলছেন, ৬ বছর আগে আমার দেয়া ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজনে ফেরত দেবে তবুও গাছ নিতে দিবেন না। এই অবস্থা মো: জুবাইরের অভিযোগ আমি সম্পূর্ণ বৈধভাবে ৬ বছর আগে ছোট অবস্থায় গাছগুলো নগদ টাকায় ক্রয় করেছিলাম, বড় হলে কিছু টাকা উপার্জনের আশায়। কিন্তু লোভী শ্বশুর পক্ষ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমার এই গাছগুলো দিচ্ছে নাতো- দিচ্ছে না, তারা আমার স্ত্রীটিও ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন