নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে পোনা নিধনে ব্যবহৃত ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সদর ও রামু উপজেলাধীন দরিয়ানগর এলাকায় পরিচালিত হয় উক্ত অভিযান। মৎস্য সংরক্ষণ আইনে পরিচালিত উক্ত অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টীম। এসময় রামুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, সকালে ভ্রাম্যমান আদালত কক্সবাজার সদরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে শুরু করে লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট হয়ে রামু উপজেলাধীন দরিয়ানগর পর্যন্ত উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উক্ত এলাকায় সাগরে বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণরত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি এবং পোনা ধরার জালও পাওয়া যায়নি।
দরিয়ানগর সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে সমুদ্রে মাছ আহরণে যাবার প্রস্তুতিকালে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ফেলে পালিয়ে যায় জেলেরা। পরে ভ্রম্যমান আদালত কর্তৃক জালগুলো জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
দরিয়ানগর সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে সমুদ্রে মাছ আহরণে যাবার প্রস্তুতিকালে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ফেলে পালিয়ে যায় জেলেরা। পরে ভ্রম্যমান আদালত কর্তৃক জালগুলো জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
কক্সবাজারের জেলা মৎস্য কর্মকতা ফেরদৌস আহ্মেদ জানান, সমুদ্র হতে প্রতিটি বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ (প্রায় শতাধিক) সংখ্যক অন্যান্য প্রজাতির পোনা, লার্ভি, ডিম বিনষ্ট করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি যার কারণে সাগরে মাছের পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে সমুদ্রের জীব বৈচিত্র মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়া সমুদ্রসহ দেশের সকল প্রাকৃতিক জলাশয়ে মনোফিলামেন্টাস নেট বা কারেন্ট জাল (স্থানীয়ভাবে রক জাল নামে পরিচিত) ব্যবহার করে মৎস্য আহরণ করা মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ (সংশোধিত ২০০০ সাল) এর মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চিংড়ি পোনা আহরণ ও কারেন্ট জালের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত ভাবে অভিযান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে সময়ে সময়ে প্রচারণামূলক মাইকিং করা সহ লিফলেট, হ্যান্ডবিল বিতরণ, ব্যানার প্রদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট স্ট্যেক হোল্ডারদের সাথে সভা-সমাবেশ সহ সকল ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন