কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় দুর্বৃত্তদের হানা

এম. আমান উল্লাহ: শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় গত ভোর রাতে বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ৫/৬ জন স্থানীয় দুবৃর্ত্তরা এসব অপকর্ম চালিয়েছে। দেয়াল ভাঙ্গার শব্দ শুনলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা ওই সময় পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী দেয়াল ভাঙ্গার খবর দিলে সাথে সাথে উক্ত জায়গার মালিক রফিকুল ইসলাম গংরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরা গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসব অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে। তারা শুধু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে নির্ভয়ে। আমাদের ধারণা তারাই গতকাল ভোর রাতে এসব অপকর্ম ঘটিয়েছে। ভূক্তভোগীরা আরো জানান, একের পর এক মামলায় আসামী হওয়ার পরও আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে তারা জামিনে বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, জেল থেকে বের হওয়ার পরে তারা প্রাণনাশের হুমকি ধমকি সহ নির্যাতন শুরু করে দেয় নিরীহ লোকজনের উপর। এ কারনে এলাকাবাসীরা উক্ত দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে মুখ খুলতে সাহস করে না। কারণ তারা ত্রাস খ্যাত। যেকোন মুহুর্তে এলাকাবাসীর উপর নেমে আসতে পারে জোর জুলুম সহ নানা নির্যাতন ও প্রাণহানির ঘটনা। এ ব্যাপারে মরহুম ছালে আহমদ বাদশা মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম জানান, যারা আমাদের সীমানার দেয়াল ভেঙ্গেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হউক। নচেত এ ধরণের আরো অন্যায় ও অপরাধ কমকার্ন্ড পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ভূক্তভোগী নিরীহ লোকজন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, শহরের বাদশাঘোনা এলাকা ক্রাইম খ্যাত। আমি আমার পুলিশ বাহিনী দিয়ে যথা সম্ভব অপরাধ দমনের চেষ্টা করে আসছি। এ ধরনের কোন ঘটনা করে থাকলে খুবই দুঃখজনক। তবে এখনো পর্যন্ত আমার কাছে এ ধরনের কোন খবর আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন