ময়লা আবর্জনা পানি দিয়ে হচ্ছে ঈদগাঁও বাসষ্টেশন ও বাজারের একাংশ হোটেলের রান্না ও চা তৈরি

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আযাদ
জেলার বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত বৃহত্তর ঈদগাঁওর একমাত্র হাট বাজার ঈদগাঁও বাসষ্টেশন ও বাজারের একাশং হোটেলে, কুলিং কর্ণার ও রেস্তোরেন্টে ঈদগাঁও নদীর ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি দিয়ে তৈরী করছে চা, কপি, রান্না করা বিভিন্ন তৈরী তরকারী। অথচ বাস্তবে এসব দৃশ্য দেখলে কখনো হোটেল বা কুলিং কর্ণারে বসে চা কিংবা রান্না করা খাবার খেতে ইচ্ছে হবেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও নদীর দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত বাসষ্টেশন ও বাজারের অধিকাংশ দোকানে পাইপ কিংবা নামে মাত্র টিউব ওয়েল বসিয়ে ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি দিয়েই রেস্তোরেন্টে বিভিন্ন নাস্তা তৈরী করছে। আবার এসব নাস্তা টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত দেদার্ছে বিক্রি করলেও স্থানীয় প্রশাসন এসব নামে মাত্র রেস্তোরেন্টের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আবার খাবার হোটেল গুলো পিছনের রান্না ঘরের দৃশ্য দেখলেই মনে হবে দুনিয়াতেই জাহান্নামের নমুনা। বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এসব দৃশ্য সম্বেলিত সংবাদ পরিবেশন হলেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ঈদগাঁও নদীর উত্তর পার্শ্বের বাসষ্টেশন বাজারের হোটেল বা চায়ের দোকানে প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি দিয়েই তৈরী করছে খাবার ও চা। অপর দিকে কুলিং কর্ণার কিংবা মিষ্টির দোকান গুলিতেও একই দৃশ্য। মিষ্টি গুলিতে একে বারেই মাছি কিংবা মশা মরাও দেখা যায়। মিষ্টি গুলি অনেক সময় মাস পরেও বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব মিষ্টি খেয়ে অনেকে রোগান্ত হয়ে মিষ্টির দোকানে প্রতিবাদ করতেও এসেছিল অনেকে। আবার বাসষ্টেশনের ভাসমান দোকানে বেলের শরবত, দই কিংবা দুধের শরবত খেয়েও ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে যেসব খাবার হোটেল, কুলিং কর্ণার ও রেস্তোরেন্টে ঈদগাঁও নদীর ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি দিয়ে খাবার কিংবা চা তৈরী করছে অথচ সেই নদীতে মানুষ, ছাগল, কুকুর, বিড়াল সহ অসংখ্যা প্রাণীর মর দেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতেও দেখা যায়। বিশাল জনগোষ্ঠিকে কথিত হোটেল মালিক কিংবা চায়ের দোকান মালিকেরা আমাদেরকে কি খাওয়াচ্ছে। বর্ণিত হোটেল, খাবার ঘর, চায়ের দোকান, কুলিং কর্ণার ও রেস্তোরেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে ঈদগাঁওর পরিবেশ একেবারেই নিম্ন স্থানে চলে যাবে এবং বিশেষ করে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া লোকজনের পেটের অবস্থা বিভিন্ন রোগের (বারটা বেজে যাওয়ার) আশংকা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন