এখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহারগুলো নতুন রুপে সেজেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা
বৌদ্ধ বিহারগুলোর নির্মাণ শেষ করেছেন বলে জানা যায়। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষার পালা। তাই জুলাই মাসের দিকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা রামুতে বৌদ্ধবিহারগুলো উদ্ধোধনের আসছেন।
জানা যায়, নয় মাস আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর এক
বৌদ্ধ যুবক ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননাকর ছবি সংযুক্ত (ট্যাগ) করার কারণে
ওই রাতে রামুর প্রচীরন ১২টি বৌদ্ধবিহার ও ২৬ টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ শতাধিক
বসতবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এর পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়-টেকনাফ ও পটিয়াতে
আরও ৭টি বৌবিহারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহার দৃষ্টিনন্দন তিন
তলা পাকা করে তৈরী হয়েছে। ১২টি বৌদ্ধবিহার ধবংস হলেও সেই ধ্বংসস্তপের উপর নয় মাসে
সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে অপরূপ সৌন্দর্য বৌদ্ধবিহার। সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি’র (প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন)
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার রহমান জানান, ১২টি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়
১২(বার) কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নির্মিত বিহারের
সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও প্রায় ৮ (আট) কোটি টাকা ব্যয় করা
হচ্ছে। রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেন, বিহার নির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। তাঁর নির্দেশে সেনাবাহিনী সুষ্ঠু ও সন্দর ভাবে কাজ
চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিহারগুলোরকাজ শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছে গেছে। জুলাই মাসের
দিকে প্রধানমন্ত্রীর বিহারগুলোর উদ্বোধনের কথা রয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
দীঘায়ু কামনা করি।
কক্সবাজার জেলার বিশ্ব মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার মহিলা বিষয়ক স¤পাদিকা সোনিয়া বড়–য়া জানান, রামুর সহিংস ঘটনারপর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে
সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বৌদ্ধবিহারগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছে প্রাচীন
বৌদ্ধবিহারগুলো। বৌদ্ধ সম্প্রদায় এখন অপেক্ষায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের।
তাই বৌদ্ধসম্প্রদায় খুব খুশি।