কুতুবদিয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় ১৪৪ দিন পর মামলা: উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ২৮ জন আসামী

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন: কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় অবশেষে ১৪৪ দিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। স্থানীয় আ‘লীগ নেতা মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (মুকুল) বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি গতকাল সোমবার (২২ জুলাই) রেকর্ড হয়। যার মামলা নং ০৮।
মামলায় কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী ও তার ভাই আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খাঁন চৌধুরী, সাংবাদিক সহ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২৮ জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
         মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশেষ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধী মাওলানা দোলোয়ার হোছাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্র“য়ারি বিকালে স্থানীয় জামায়াত-শিবির, কথিত সাঈদী মুক্তি পরিষদের ভক্তরা লাটিসোটা নিয়ে মিছিল নিয়ে এসে উপজেলা সদরে অবস্থিত আ‘লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায়। একই সাথে তারা বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ভাঙচুর,অগ্নিসংযোগ সহ লুটপাট চালায়। শুধু আ‘লীগ অফিসের ৩লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
      মামলার বাদী আ‘লীগ নেতা মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী মুকুল বাদী চলতি বছরের ৩ মার্চ কুতুবদিয়া থানায় এজাহার দিলেও বিএনপি নেতাদের চাপের মূখে পুলিশ মামলা নেয়নি। এদিকে বাদী  মামলাটি রেকর্ড করতে হাই কোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন নং ৬১৭৩/১৩ । গত কয়েক দিন পূর্বে মহামান্য হাই কোর্ট মামলাটি কুতুবদিয়া থানায় রেকর্ডে আদেশ দিলে সোমবার ৪ মাস ২২ দিন পর তা রেকর্ড হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম, মৌং আক্কাস, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ও স্থানীয় জামায়াত দলীয় সাংসদ হামিদুর রহমানের অন্যতম সহযোগী মাদ্রসা শিক্ষক আহমদ কবির বাবুল, হাফেজ বদিউল আলম, কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, আলী আকবর ডেইল ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ খাঁন চৌধুরী, আব্দু রুজম, আমির হোছাইন, মৌলভী মনির, মৌলভী আব্দু ছাত্তার, মনজুর আলম, জয়নাল আবেদীন, ওছমান গণী, মো: ইলয়িাছ, মো: কালু, আবুল কালাম, মৌং নুরুল আমিন, মৌং হাসান মুরাদ, কামাল উদ্দিন, রজি উল্লাহ, কলিম উল্লাহ, মো: ছোটন, হাছান আলী, শাহাজাহান, মো: হোছাইন, মৌং জাহেদুল ইসলাম, মৌলানা নেছার আহমেদ ও নাছির উদ্দিন।
    কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহিরুল ইসলাম খাঁন হাই কোর্টে রীট পিটিশন‘র আদেশ পাওয়ার পর মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর দায়ের করা মামলাটি গত সোমবার রেকর্ড করার কথা নিশ্চিত করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন