প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কক্সবাজার সদর-রামু ৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নিয়ে তৃনমুলের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রের ঘোষিত প্রার্থীর সিদ্ধান্তই ভুল বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। জানা গেছে, দেশব্যাপি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি দেশব্যাপি তাদের প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। তবে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি উভয় দলে এখন তাদের ষোঘিত অনেক আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। সর্বশেষ জাতীয় পার্টির ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ এবং হতাশার অংশ হিসেবে কক্সবাজার সদর-রামু আসন ৩ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
তুনমুলের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, উলে¬খিত আসনে জাতীয় পার্টি নেতা মফিজুর রহমানকে চুড়ান্ত করায় প্রায় নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তৃনমুলের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনে যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি এ আসনে পার্টির একজন জনপ্রিয় নেতা নন। তাছাড়া তাঁর সাথে তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের সুসর্ম্পক বজায় নেই। তিনি কোন ত্যাগি এবং পরিক্ষিত নেতা নন। তাছাড়া সদ্য ঘোষিত ‘তৃনমুল জাতীয় পার্টির’ চেয়ারম্যান কাজী জাফরের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
অনেকে বলেছেন, মফিজুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে দু’বার পরাজিত হয়েছেন। তবে সর্বশেষ তিনি ওই ওয়ার্ড থেকে ২০১১ সনে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করে ৩য় হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা-কর্মী জানিয়েছেন, উলে¬খিত আসনে যদি প্রার্থী ঠিকমত দেয়া হত তাহলে আওয়ামী লীগের কোন্দলকে পুঁজি করে জাতীয় পার্টি এ আসনে আশাতিত ফলাফল অর্জন করত।
সচেতন মহল ও জাতীয় পার্টির অনেকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনে কয়েকজন জনপ্রিয়, যোগ্য ও ত্যাগি নেতা রয়েছেন। কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে কোন কারণে ওই নেতাকে প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়েছে এ প্রশ্ন সবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন