কায়সার হামিদ মানিক
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন যানবাহন থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত নিরহ লোকজনকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।
খোঁদ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির চাঁদা আদায়ের ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, ২০১২ সালের শুরুর দিকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির যাত্রা করা হলেও ইতিমধ্যে এলাকার আইন শৃংখলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে কর্মরত পুলিশেরা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে। এ নিয়ে উপকূলীয় এলাকার লোকজনের মাঝে পুলিশ ফাঁড়ির এ ধরনের কর্মকান্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আমাদের দেশে পুলিশকে জনগণের বন্ধু বলা হয়। এ বন্ধুরাই আইনের খোলস পড়ে জনগণের মাঝে প্রবেশ করে সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করে ছেড়ে দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপকূলের মেরিন ড্রাইভ সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন প্রকার যানবাহন থামিয়ে গাড়ীর ফিটনেস চেকিং করার নামে ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীদের দাড়িয়ে রাখে হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয় ইনানী ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এতে গাড়ীর মালিক ও যাত্রীরা চরম ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকজনকে ফাঁড়িতে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে থাকেন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করলে স্থানীয় জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে চাঁদাবাজি থামাতে চেষ্টা করেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবও পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন মিয়াকে মুঠোফোনে অবহিত করেছেন। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাশরুরুল হক জানান, কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর গাড়ী চেক করা হলে প্রভাবশালীরা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনে। তবে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন