এম. রায়হান চৌধুরীঃ চকরিয়া পৌর শহরে মূল্যবান জমি নিয়ে ভূমিদস্যুদের অব্যাহত হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সংখ্যালঘু পরিবার ও আলী আহমদগং। এতে আংশকা করা হচ্ছে জান হানি ও মাল নষ্টের।
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মহামান্য উচ্চ আদালতের। যার নং ৩৬৪৭/১০ইং। সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার চিরিঙ্গা বায়তুশ শরফ রোড সংলগ্ন হারাধণগং ও আলী আহমদগং এর কোটি কোটি টাকা মূল্যের আর.এস খতিয়ান ২০৭, আর.এস দাগ ৪২০, ৪২১, ৪৭৪, ৪৯৫, বি.এস দাগ ৬৩৯ সংশ্লিষ্ট জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে স্থানীয়দের মাঝে। ইতিমধ্যে, ওই জায়গা নিয়ে ৫টি বি.এস সংশোধনী মামলা চলছে। যার নং- ৫০/২০০১ আলী আহমদগং, ২৩/২০০৭ হারাধণগং, ১৭৩/২০০৬ ফজলুল আজিমগং, ৩৫৫/২০০৭ গোল চেহের বেগমগং ও জিল্লুর রহমান পিতা মরহুম আতিকুর রহমান- দরবেশকাটা। এছাড়াও জি.আর মামলা ১২৮/১৩ ও সি.আর মামলা ৮২০/১৩ রয়েছে। এসব আইনী প্রক্রিয়া বহাল থাকা সত্ত্বেও এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাম-রাজত্ব বজায় রাখতে চলছে সংখ্যালঘু পরিবারসহ অন্যান্য মালিকগংয়ের ওপর নানা নির্যাতন। আলী আহমদগং ও হারাধণগং জানায়, সাজ্জাদুল করিম (৪২) প্রকাশ কাজলগং, মুজিবুল কবির (৪০) প্রকাশ ডিস মুজিব ও আমিরুল কবির সুজনগংয়ের নেতৃত্বে সরকারদলীয় নেতার যোগসাজশে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত রাতারাতি হাইব্রিড আ’লীগ নেতা সেজে প্রভাব খাটিয়ে ৫৯ শতক জমির একটি ভূঁয়া খতিয়ান সৃজন করে। কিন্তু জবর দখলে নেয় ৯৫ শতাংশ। হারাধণ আরো অভিযোগ করেন, ওই ভূমিদস্যু চক্র বহিরাগত ৪০/৫০জনের দাগি অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদের নিয়ে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে রীতিমত হুমকি-ধমকি প্রদান করে আধিপাত্য বজায় রাখার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে জানমাল নাশের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার আংশকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জমির প্রকৃত মালিকগং। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলে বিরোধ মিমাংশা করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলে ভূমিদস্যুগং এসবের তোয়াক্কার না করে সংখ্যালঘু পরিবার ও আলী আহমদগংদের উল্টো চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।