ইয়াবার বিপরীতে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে মাসে ৫০ কোটি বাংলা মুদ্রা

আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে আসামীরা জামিনে বের হয়ে আসছে

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী: চোরাইপণ্যের মধ্যে “ইয়াবা” একটি নিরাপদ র্শীষ চোরাইপণ্য। এ ব্যবসা করে অনেকেই লাভবান। “ইয়াবা” থাই শব্দ। এর অর্থ পাগলা। টেকনাফ সীমান্ত “ইয়াবার” গডফাদার এবং ব্যবসায় যারা জড়ি তাদের ব্যাপারে স্থানীয় আঞ্চলিক ও জাতীয় সংবাদপত্রে ব¯ত্তনিষ্ট সংবাদ পরিবেশিত হলে ও রহস্যজনক কারনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে ইয়াবা নামক মহামারী মাদক
বিস্তার লাভ করছে। ইয়াবা গডফাদার, ব্যবসায়ী ও পাচারকারী ছাড়া ও এর সাথে সীমান্তের সরকারী বিভিন্ন এজেন্সী পত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার ব্যাপক জনশ্র“তি রয়েছে। ইয়াবা একটি ছোট চোরাইপণ্য এটি কিভাবে ধরা যায়। এর থেকে সরকারী বিভিন্ন এজেন্সী দায়মুক্ত হতে চায়। সীমান্ত এলাকার ব্যাপক জনশ্র“তি রয়েছে ইয়াবা প্রবেশ এবং বিস্তারের পেছনে অবাশ্যই ওরা নেপথ্যে জড়িত। টেকনাফ সীমান্তের লেদা, জাদিমুড়া, নাইটংপাড়া, জালিয়া পাড়া, আড়াই নম্বর স্লুসগেট, নাজির পাড়া ও সাবরাং নয়াপাড়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অভিনব, কৌশলে লাখ লাখ ইয়াবা ঢুকছে। বিজিবি কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে যে পরিমান ইয়াবা আটক হয়, তাহা সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী তাৎকনিকভাবে ঘঠনাস্থলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বাজনগনের সামনে স্বাক্ষীর মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করার কথা থাকলে ও এ নিয়ম ওরা মানছেন না। সীমান্তের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইয়াবা আটক পরিমাণ নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেয়। আটক ইয়াবা পরিমাণ এবং সরকারী কোষাগারে জমা হবার পর এর পরিমান বাহিরে দ্বিগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘঠনাস্থলে ইয়াবা আটক সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা না থাকার কারনে অনেকের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রশ্নবিদ্ধ। ইয়াবার সাথে যারা আটক হয় তারা আইনের ফাকফোকর দিয়ে জামিনে  চলে এসে এবং পূনরায় এর সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। ইয়াবাসহ আটক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইয়াবা মামলার নিম্মমান ধারা প্রয়োগ করার ফলে আদালত থেকে আসামী জামিনে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়। ইয়াবার সাথে আটক আসামী অসহায় গরীব জেলে থাকলে ও এর মূল গডফাদার আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন চোরাইপথে লাখ লাখ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্তে ঢুকছে এবং এর বিপরীত কোটি কোটি বাংলা মূদ্রা মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। প্রতি মাসে এভাবে ইয়াবার বিপরীত প্রায় ৫০ কোটি বাংলা মূর্দা টাকা মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাংকের টাকার সংকট দেখা দেয় অনেক সময়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন