নাটোরের লডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। প্রেমিকের নাম পারভেজ, প্রেমিকার নাম নাসিমা। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের খবরে গা-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক পারভেজ। এলাকাবাসী জানায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র পারভেজের সঙ্গে প্রায় বছর খানেক থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নাসিমা খাতুনের।
সমপ্রতি প্রেমিক পারভেজ প্রেমিকা নাসিমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এ বিষয়টি নাসিমা জেনে গেলে পারভেজ তার কাছ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে, এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর নাসিমা মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পারভেজের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পারভেজ গাঁ-ঢাকা দিলে বিয়ের দাবিতে নাসিমা ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়।
সমপ্রতি প্রেমিক পারভেজ প্রেমিকা নাসিমার সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এ বিষয়টি নাসিমা জেনে গেলে পারভেজ তার কাছ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে, এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর নাসিমা মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পারভেজের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পারভেজ গাঁ-ঢাকা দিলে বিয়ের দাবিতে নাসিমা ওই বাড়িতে অবস্থান নেয়।
অনেক চেষ্টা করেও নাসিমাকে সেখান থেকে সরাতে না পেরে উভয় পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানায়। বর্তমানে নাসিমা ইউপি সদস্য আবু নওশাদ দিলশাদের তত্ত্বাবধানে পারভেজের বাড়িতেই অনশন করছে।
এ ব্যাপারে প্রেমিকা নাসিমা জানান, ‘আমি ও পারভেজ পড়াশোনা শেষে বিয়ে করবো- এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্পর্ক করেছি। কিন্তু পারভেজ এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। পারভেজকে ছাড়া আমি বাঁচবে না। সে বিয়ে না করলে অনশন চালিয়ে যাবো। তাতেও পারভেজ না এলে আত্মহত্যা করবো।’
প্রেমিক পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সে পলাতক থাকায় কিছু জানা যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে ছোট- সে প্রেমের কিছু বোঝে না। আসলে সামান্য কথাবার্তা ছাড়া পারভেজের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কোন সম্পর্ক নেই।
কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবার পারভেজের পারিবারিক সচ্ছলতা দেখে এই নাটক সাজিয়ে তাদের মেয়েকে আমাদের ঘরের বউ করার চক্রান্ত করছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়ের পরিবারের লোকজন জানান, আমরা মেয়েকে পড়াশোনা করাবো ভেবেছিলাম, কিন্তু পারভেজ আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমে ফেলেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় আমাদের মেয়ে ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এখন আমাদের পক্ষে ওই মেয়েকে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়া সম্ভব নয়, তাই পারভেজকেই আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন