সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করা হয়ছে। বলা হয়েছে, দেশের আজকের এই সংকটটি মূলত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, অধিকার রক্ষার আন্দোলনে যদি দেশটিতে সহিংসতা চলতে থাকে তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করতে পারে। এতে আরো বলা হয়, হরতালে সহিংসতায় বিরোধী দলগুলোর বহু কর্মী নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ মানবাধিকার কর্মীদেরও। সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কেও মন্তব্য করেছে। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অপরাধ মামলায় আদালত বেশ কটি মৃত্যুদ- ঘোষণা করেছে। যার বিচার প্রক্রিয়া ও রায় বিচারের মৌলিক আদর্শকে অবজ্ঞা করেছে।
সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্বের বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। সাথে সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির ব্যাপারেও মন্তব্য করা হয়েছে। ২০১১ সালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারাটি সংবিধান থেকে তুলে দেন। এখন মিসেস হাসিনা একটি ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠন করেছেন যার প্রধান আবার তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে এই সরকার গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে দুই প্রধান দলের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব।
সম্পাদকীয়তে জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার লোচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের অনেক সমর্থক মনে করছেন, বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলো দেশের ভিত্তির জন্যে হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আগামী নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে জামায়াতে ইসলামীর হতাশ নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। আর আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৯৭১-এ পাকিস্তানের সহায়তাকারীদের নৃশংসতার বিচার করার জন্যে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় মূলত বিরোধী দলের নেতাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন