হলুদ সাংবাদিকতার জন্য আবদুল কুদ্দুস রানাকে কক্সবাজারবাণীর অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বার্তা পরিবেশক: শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর কক্সবাজারস্থ নিজস্ব প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার, ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ততা, যুদ্ধাপরাধি শ্বশুরকে রক্ষা ও চাঁদাবাজিসহ হলুদ সাংবাদিকতায় লিপ্ত থাকায় আবদুল কুদ্দুস রানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী পরিবার। একই সাথে তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া সাংবাদিক ও সামরিক বেসামরিক প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা অন্যসব অসাধু ব্যক্তিবর্গকেও অবাঞ্ছিত করে কক্সবাজারবাণীতে কর্মরত সাংবাদিকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে কেউ আবদুল কুদ্দুস রানার পক্ষাবলম্বন করলে কক্সবাজারবাণী পরিবার তাদের মুখোশ উন্মোচন করবে। শুধু তাই নয়, কক্সবাজারে পাঠক নন্দিত এই দৈনিকটির সকল সাংবাদিকরা একযোগে হলুদ সাংবাদিক আবদুল কদ্দুস রানা ও তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা সহচরদের সব প্রকার সংবাদও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

রবিবার দৈনিক কক্সবাজারবাণী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিনিধি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজারবাণীতে কর্মরত সকল সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও কলাকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খান, নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত জনপ্রিয় অনলাইন আমাদের সময় ডটকম ও কেন্দ্রিয় যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির মালিকানাধীন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির আঞ্চলিক প্রধানও বটে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য তিনি জাতীয় এই দু’টি গণমাধ্যম থেকে চলতি বছর ও এর আগের বছর পর পর দুই বার বর্ষ সেরা সাংবাদিক নির্বাচিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিজের বিরুদ্ধে এমনকি সাংবাদিক পরিচয়ী অন্যকেউ অপকর্ম করলেও নিজের পেশাগত সাহস নিয়ে তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। শুধু তাই নয়, এমন কোন প্রভাবশালী অপরাধী নেই, যার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেননি। কাজেই গত কয়েকদিন আগে তিনি আবদুল কুদ্দুস রানার অপকর্মের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে এমন কোন অপরাধ করেননি যে, কক্সবাজারের দু’টি সাংবাদিক ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করবে। 
সভায় কক্সবাজারবাণী সম্পাদক দুই সাংবাদিক ইউনিয়নের এমন আচরণকে বর্বরোচিত বলে আখ্যা দিয়ে পরিস্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এই দু’টি সংগঠনের সভায় গুটি কয়েক যেসব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে কক্সবাজারবাণী চেনেন। পরের গণমাধ্যমে গোলামি করে একজন দৈনিক পত্রিকার মালিকের বিরুদ্ধে তারা যে হুংকার দিয়েছেন তাতে কক্সবাজারবাণীর সাংবাদিকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলায় ছোটবড় প্রায় শতাধিক সাংবাদিক আছেন। কিন্তু সেখান থেকে গ্রহণযোগ্য ও সিনিয়র কেউ উপস্থিত না হওয়া সত্ত্বেও মাত্র দু’য়েকজন মিলে দৈনিক কক্সবাজারবাণী সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হাস্যকর। 
অতএব, সভায় কক্সবাজারবাণীর কর্মরত সাংবাদিকরা এই ঘটনাটিকে ধিক্ষার জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন কোন অপকর্ম আর না করতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে আরো বলেন, অচিরেই সাংবাদিক পরিচয়ী আবদুল কুদ্দুস রানার সব অপকর্মের তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কক্সবাাজরবাণীর কর্মরত সাংবাদিকরা দুর্বার আন্দোলন করবে। শুধু তাই নয়, কক্সবাজারবাণীতে কর্মরত সাংবাদিকরা এজন্য প্রয়োজনে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন ও উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন