বিএনপি নেতার শপথের ব্যবস্থা করবেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
বগুড়ার তালোড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা আব্দুল জলিল খন্দকারের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা সরকার করবে বলে অঙ্গীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন মাগরিবের নামাজ বিরতির আগে বিএনপি দলীয় সাংসদ ও সাবেক ¯িপকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ অঙ্গীকার করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার সংসদের কাছে জানতে চান, তার নির্বাচনী এলাকার তালোড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে কি না?
তিনি বলেন, “গত ৮ মে দুপচাচিয়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল জলিল খন্দকার মেয়র নির্বাচিত হন। আগামী ৮ জুন তার শপথ নেওয়ার শেষ তারিখ। কিন্তু বর্তমানে জলিল খন্দকার জেলে থাকায় তার শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পর সেখান থেকেও জটিলতার কথা বলা হয়। ফলে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার স্বার্থে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে কি না সে ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত না থাকায় জমির উদ্দিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “তালোড়া পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন। তার (নির্বাচিত প্রার্থীর) যে শপথ অনুষ্ঠান হয়নি সেটা আমরা জানতাম না। জনগণের প্রতিনিধি হওয়ায় তার শপথের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করবো।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৫ হাজারের ওপরে নির্বাচনে ৬৩ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। কাজেই আমাদের সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। আমাদের সময় যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এটাই তার প্রমাণ।”
তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। অনেক স্থানেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু আমরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিনি।” প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকারের পরপরই অধিবেশনে মাগরিবের নামাজের বিরতি দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন