ইব্রাহীম খলিল
কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে রমজানের পূর্বেই নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার রোজার মাসে নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না বলে ঘোষণার পরও বাজারে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো, আদা, ডিম সহ বেশ কয়েকটি পণ্যের।
পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ৩২ টাকা থেকে কেজি প্রতি ১৩ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকা কেজি থেকে ৮০ টাকয় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। টমেটোর দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ পর্যন্ত বেড়েছে। বাজার মনিটরিং এর অভাব এবং বিক্রেতাদের অসততার কারণে যা ইচ্ছা তাই দাম নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। রমজান সমাগত হলেও সপ্তাহে বাজার মনিটরিং করতেছে না। বাজার মনিটরিং কমিটি। পাইকারী দোকান গুলো থেকে খুচরা দোকান গুলোতে পণ্যের দাম ৪/৫টাকা ব্যবধান। মসলার বাজার স্থিতিশীল বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। বাজারের বড় দোকান গুলোতে নিত্য পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। কয়েকটি পাইকারী দোকানে দাম অভিন্ন রয়েছে বেশ কয়েকটি পণ্যের। বাজারের পাইকারী ষ্টোর গুলোতে গত ৬ জুলাই পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে সরিষার তেল কেয়া ১৫০ টাকাা, রূপচাঁদা ১৯০ টাকা, রাধুনী ২১০ টাকা, শংখ ২১০ টাকায় লিটার বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন লিটার প্রতি কেয়া ১৩০ টাকা, তীর ১৩২ টাকা, খোলা সয়াবিন ১২০ টাকা এবং সুপার সয়াবিন খোলা ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। খেসারী ৫০ টাকা, মশুর ডাল ভালমানের ১০৫ টাকা, মশুর ডাল ২নং ৮৫ টাকা, চিনি ৪৫/৫০ টাকা, চনার ডাল ৫০/৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু দেশী ২৫ টাকা, শহরের ললিত আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। বয়লার মুরগি ১৪০/১৫০ টাকা, গরুর মংস ২৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের পূর্বেই নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের বিশেষ করে নি¤œ মধ্যবিত্তের মধ্যে নাভিশ্বাস জন্মেছে। বাজারে নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার সরকারের প্রচেষ্টা অজ্ঞাত কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে রমজানে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বাড়ার আশংকা করছেন সচেকন মহল। জরুরী ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং এ প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।