ঈদকে সামনে রেখে ঈদগড়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকান্ড

ইব্রাহিম খলিলঃ কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে ঈদকে টার্গেট করে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেড়ে চলেছে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি,চাঁদাবাজী সহ বেশ কিছু ছোট খাট মৌসুমী অপরাধ। আর এসব অপরাধীদের উৎপাতে রাস্তায় রাতের বেলায় চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে প্রায় রাতেই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। জানা যায়,ঈদগড়ের কয়েকটি জায়গা বা সড়কে চোর ডাকাতদের ভয়ে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে এলাকার মানুষ। বিশেষ করে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক,ঈদগড়-বাইশারী সড়ক,ঈদগড় বাজার-রাঙ্গাঝিরি সড়ক,ঈদগড় বাজার-আলীকং সড়ক,চাইল্যাতলী,করলিয়ামুরা,উপরেরখীল,পশ্চিম হাসনাকাটা, ঠুটারবীল মইগ্যার জুম, কাটা জঙ্গল সহ আরো বিভিন্ন এলাকায় চোর ডাকাতদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে সড়কে পরিবহনে ডাকাতির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। তবে অপরাধ কর্মকান্ডরোধে ইতিমধ্যে জেলায় পুলিশ বিশেষ টিম গঠন সহ বেশ কিছু কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বেশি করে টহল শুরু হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় ঈদগড়ে এখনো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে টহল জোরদার করা হয়নি। তাই চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। অনেকেই মনে করেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে পুলিশ এসব দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব অপরাধ কর্মকান্ড ঘটানো ও ডাকাতির সময় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত থাকে অপরাধীরা। তাই এদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করেনা। অতীতে এদের হাতে অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন অস্ত্রের গুলি, ছুরি,দা সহ আরো বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে। গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে ঈদগাঁও থেকে ঈদগড় যাওয়ার পথে অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতদল ঈদগড় বড়বিল এলাকার সোহেল নামক এক মোটর সাইকেল ড্রাইভারকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতি বছর ঈদ মৌসুমে ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক সহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে চুরি,ডাকাতি বৃদ্ধি পায়। তাই এ রমজান মাসে এলাকার জনমনে আতংক বৃদ্ধি পেয়েছে। কখন কোথায় কার বাড়ীতে ডাকাতি সংঘটিত হয় এবং সড়কে ডাকাতির গুলিতে কাকে না কাকে প্রাণ হারাতে হয়। দৈনন্দিন বিভিন্ন কর্মকান্ড শেষে সন্ধ্যার পরেই ঈদগাঁও ষ্টেশন হতে তিন ইউনিয়ন তথা ঈদগড়,ঈদগাঁও,বাইশারী এলাকার প্রায় হাজার খানেক মানুষ যাতায়ত করে। বর্তমানে তারা ডাকাত আতংকে রয়েছেন। এলাকার সুশীল সমাজের ধারনা চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,অপহরণ ও চাঁদাবাজী ইত্যাদি কর্মকান্ড ঈদকে সামনে রেখে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনই এসব থামানো না গেলে ঈদের নিকটে এসব ছোট বড় সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে। তবে এসব শক্তহাতে রোধ করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিকে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল জোরদার করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন। বিশেষ করে ইফতার,তারাবীর নামাজ ও সেহেরীর সময় পুলিশকে বেশি সক্রিয় থাকার জন্য এবং রাতের বেলায় বাজারের মার্কেট গুলোতে পুলিশের একটি দল ঈদ পর্যন্ত টহল দেওয়ার জন্য এলাকার সর্বস্তরের জনগণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।