আজ কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী : উদ্বোধন করবেন ৩৭ প্রকল্প

সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা: দলীয় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা

সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা: দলীয় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা

ফরিদুল মোস্তফা খান : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার একদিনের সফরে কক্সবাজার আসছেন। তিনি সকালে রামুতে নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধনের পর বিকেলে উখিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এ সফরে কক্সবাজারে ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একসঙ্গে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বৌদ্ধ বিহার ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কক্সবাজারবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে স্থানীয় অনেকে মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রামুরবহুল আলোচিত দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং বিগত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের মধ্যকার গ্র“পিংও চাঙা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজারের রামু সফরে এসেছিলেন গেল বছরের ৮ অক্টোবর। ওই সময় রামুতে সহিংস ঘটনায় ভস্মীভূত বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অনুদান দিয়েছিলেন ১২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর তরফে আরো ৮ কোটি যোগ করে মোট ২০ কোটি টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিহার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন নবনির্মিত বিহারগুলো তিনি উদ্বোধন করতে কক্সবাজার আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের এ সফরে যোগ হয়েছে দলীয় জনসভা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরসূচি নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে রামুতে পৌঁছবেন। তিনি একে একে নবনির্মিত ভাবনা কেন্দ্র বৌদ্ধ বিহার, রামু মৈত্রী বিহার ও সীমা বিহার পরিদর্শন এবং আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইনানী সৈকতে সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস ‘বেওয়াচ’-এ জোহরের নামাজ আদায়করবেন। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিশ্রাম শেষে উখিয়া হাইস্কুল মাঠে দলীয় জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এ জনসভায় উখিয়ার সাত বৌদ্ধ বিহারসহ ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন।
কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সেগুলোর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে-খুরুশকুল-চৌফলদণ্ডি সংযোগ সেতু, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, কক্সবাজার টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মহিলা কলেজ, রামু খিজারি মডেল হাই স্কুল, কক্সবাজার সিটি কলেজ ও ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতন। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় চারটি, টেকনাফ, চকরিয়া ও পেকুয়ায় দুটি করে এবং কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে একটি করে মাদ্রাসার ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর উখিয়ায় নবনির্মিত ও সংস্কার করা দীপাংকুর বিহার, প্রজ্ঞামিত্র বিহার, উত্তর বড়বিল বিহার, রাজা পালং জাদি বিহার, পাইন্যাশিয়া বিহার, রেজারকুল ও পশ্চিম রতœা বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন করা হবে এদিন। জানা গেছে, শেখ হাসিনার এ সফরে জেলার ১২টি মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ প্রায় ১২ কোটি টাকায় মাদ্রাসা ভবনগুলো নির্মাণ করছে। এসব মাদ্রাসায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহকারে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনেই আমরা সিটি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। কারণ এ কলেজে বর্তমানে চার হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোসতাক আহমদ বলেন, ‘রামু কলেজকে আমরা সরকারিকরণের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে রামুর ঐতিহ্যবাহী খিজারী হাই স্কুলও সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়া হোক।’ উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার এ মহিলা কলেজের সরকারিকরণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসাসহ উপজেলার আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এদিকে উখিয়ায় দলীয় জনসভাকে কের্ন্দ্র করে কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া-টেকনাফ) আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। জেলার একমাত্র সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদি নিজের ইমেজ সংকটের মুখেও আবারও দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় সভানেত্রীর জনসভা সফল করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। এ আসনে সাবেক দলীয় এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম এবং অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীও মনোনয়ন লাভের আশায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেনবলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া হাই স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উখিয়াবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে।’  অপরদিকে সীমান্তবর্তী উখিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাবুল আকতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ব্যাপক নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় কোনো রোহিঙ্গাকে তাদের বসতির বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।’ এদিকে রামুতে আলোচিত সহোদর দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিবাদকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপেলা রাজু নাহা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর দুই সন্তান রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। আপন ভাই হলেও একে অপরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। দলের কার্যক্রমেও পড়েছে দুই ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের হাওয়া। স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের সফরে দুই ভাই সমানে শক্তি প্রদর্শন করতে চান। শক্ত অবস্থান জানান দিতে চান। এ কারণে রামুতে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহ¯পতিবার রাতে বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হাতাহাতির ঘটনায় কমলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আমেরিকা ফেরত ছোট ভাই তানভির সরওয়ার রানা।

ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে, ০২.০৯.১৩
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার একদিনের সফরে কক্সবাজার আসছেন। তিনি সকালে রামুতে নবনির্মিত বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধনের পর বিকেলে উখিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এ সফরে কক্সবাজারে ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একসঙ্গে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বৌদ্ধ বিহার ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কক্সবাজারবাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে স্থানীয় অনেকে মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেছে এলাকাবাসী। 
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া রামুরবহুল আলোচিত দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং বিগত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের মধ্যকার গ্র“পিংও চাঙা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজারের রামু সফরে এসেছিলেন গেল বছরের ৮ অক্টোবর। ওই সময় রামুতে সহিংস ঘটনায় ভস্মীভূত বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অনুদান দিয়েছিলেন ১২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর তরফে আরো ৮ কোটি যোগ করে মোট ২০ কোটি টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিহার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন নবনির্মিত বিহারগুলো তিনি উদ্বোধন করতে কক্সবাজার আসবেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের এ সফরে যোগ হয়েছে দলীয় জনসভা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরসূচি নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে রামুতে পৌঁছবেন। তিনি একে একে নবনির্মিত ভাবনা কেন্দ্র বৌদ্ধ বিহার, রামু মৈত্রী বিহার ও সীমা বিহার পরিদর্শন এবং আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইনানী সৈকতে সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস ‘বেওয়াচ’-এ জোহরের নামাজ আদায়করবেন। সেখানে মধ্যাহ্ন ভোজ ও বিশ্রাম শেষে উখিয়া হাইস্কুল মাঠে দলীয় জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এ জনসভায় উখিয়ার সাত বৌদ্ধ বিহারসহ ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন।
কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করবেন সেগুলোর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে-খুরুশকুল-চৌফলদণ্ডি সংযোগ সেতু, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, কক্সবাজার টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট প্রকল্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মহিলা কলেজ, রামু খিজারি মডেল হাই স্কুল, কক্সবাজার সিটি কলেজ ও ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতন। এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় চারটি, টেকনাফ, চকরিয়া ও পেকুয়ায় দুটি করে এবং কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে একটি করে মাদ্রাসার ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর উখিয়ায় নবনির্মিত ও সংস্কার করা দীপাংকুর বিহার, প্রজ্ঞামিত্র বিহার, উত্তর বড়বিল বিহার, রাজা পালং জাদি বিহার, পাইন্যাশিয়া বিহার, রেজারকুল ও পশ্চিম রতœা বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধন করা হবে এদিন। জানা গেছে, শেখ হাসিনার এ সফরে জেলার ১২টি মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ প্রায় ১২ কোটি টাকায় মাদ্রাসা ভবনগুলো নির্মাণ করছে। এসব মাদ্রাসায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহকারে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনেই আমরা সিটি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। কারণ এ কলেজে বর্তমানে চার হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোসতাক আহমদ বলেন, ‘রামু কলেজকে আমরা সরকারিকরণের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে রামুর ঐতিহ্যবাহী খিজারী হাই স্কুলও সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়া হোক।’ উখিয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার এ মহিলা কলেজের সরকারিকরণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসাসহ উপজেলার আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এদিকে উখিয়ায় দলীয় জনসভাকে কের্ন্দ্র করে কক্সবাজার-৪ আসনে (উখিয়া-টেকনাফ) আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। জেলার একমাত্র সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদি নিজের ইমেজ সংকটের মুখেও আবারও দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় সভানেত্রীর জনসভা সফল করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। এ আসনে সাবেক দলীয় এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম এবং অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীও মনোনয়ন লাভের আশায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেনবলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া হাই স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উখিয়াবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে।’  অপরদিকে সীমান্তবর্তী উখিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর ব্যাপারে। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাবুল আকতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ব্যাপক নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় কোনো রোহিঙ্গাকে তাদের বসতির বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।’ এদিকে রামুতে আলোচিত সহোদর দুই আওয়ামী লীগ নেতার বিবাদকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা যাতে না ঘটে সেই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সজাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপেলা রাজু নাহা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর দুই সন্তান রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল এবং গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। আপন ভাই হলেও একে অপরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। দলের কার্যক্রমেও পড়েছে দুই ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের হাওয়া। স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের সফরে দুই ভাই সমানে শক্তি প্রদর্শন করতে চান। শক্ত অবস্থান জানান দিতে চান। এ কারণে রামুতে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহ¯পতিবার রাতে বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হাতাহাতির ঘটনায় কমলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আমেরিকা ফেরত ছোট ভাই তানভির সরওয়ার রানা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন