টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী বিশেষ অভিযান নিয়ে রাজনীতিকরণের অভিযোগ!

ডেস্ক রিপোর্ট : টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইয়াবাবিরোধী বিশেষ অভিযান নিয়ে জনমনে আনন্দের পাশাপাশি গণঅসন্তোষও বিরাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ মতে, টাস্কফোর্স সদস্যরা ইতোমধ্যে যেসব অভিযান পরিচালনা করেছেন, সেখানে বেশকিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক করতে সক্ষম হলেও এখনো বড় কোন ইয়াবা ভান্ডারে আঘাত করেননি। শুধু তাই নয়, উক্ত অভিযানকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে বলেও সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, সত্যিকার অর্থে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দূর্গে যদি আঘাত হানত, তাহলে চব্বিশ ঘন্টার অভিযানেই টেকনাফের সব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হত। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য টাস্কফোর্স সদস্যরা দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে অভিযান পরিচালনা করতে পারছেন না। স্থানীয় ক্ষমতাসীন অদৃশ্য শক্তির দিকনির্দেশনায় পরিচালিত উক্ত অভিযানে শাসক দলীয় বড় কোন ইয়াবা ব্যবসায়ী এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, বরং যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তারা চুনুপুঁটি মাত্র।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইফ শাহজাহন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ইয়াবা বিরোধী অভিযানের নাম দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফে বিরোধী দলীয় রাজনীতি নির্মূল অভিযানে নেমেছে। তারা সেখানকার প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী আওয়ামী গডফাদারদের আটকের বিপরীতে বিএনপিসহ আঠার দলীয় নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হয়রানি করছে। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর উক্ত বক্তব্য নাকছ করে দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক খুশী মোহন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ৬৩ সদস্যের তাদের দলের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরাও অভিযান পরিচালনা করছে। টিমে রয়েছেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 
২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ইতোমধ্যে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে নিয়মিত মামলায়, অপর ১১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দেশব্যাপী ইয়াবা আগ্রাসন অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়ায় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক ও ইয়াবা উদ্ধারে এ অভিযান চলছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা জানিয়েছেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন