সাগরদ্বীপ মহেশখালী থেকে বিলুপ্তির পথে শাপলা-শালুক

মহেশখালি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জাতীয় ফুলশাপলা, সারাদেশের মত সাগারদ্বীপ মহেশখালী থেকে আজ বিলুপ্তির পথে বিশেষ করে মহেশখালীর পশ্চিমে, কুহুলিয়া নদীর সংলগ্ন বদ্ধ ডোবা জলাশয়, নালা এবংপুকুরে এর ফলন হত চোখে পড়ার মত মহেশখালীতে প্রচলন আছে, শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য মুগ্ধ হয়ে এখানকার লোকেরা পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলের নাম দিয়েছে শাপলাপুর
বর্তমানে এটা শাপলাপুর ইউনিয়ন নাম সবার কাছে পরিচিত কিন্তু এখন মহেশখালীর উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরলেও শাপলা পাওয়া দুস্কর
দেশে দিনদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে,খাল জলাশয় কমে যাওয়া, জমিতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে শাপলা এখন হারিয়ে যাচ্ছে বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় নিচু জমিতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মাতো হাজার হাজার শাপলা ফুল, দেখে মন জুড়াতো রং বেরঙের শাপলার বাহারি রূপ দেখে মুগ্ধ হতো পথিক ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পানিতে নেমে শাপলা তুলে সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রী করত গ্রাম বাংলার অনেক পরিবারে খাদ্য তালিকায় থাকতই শাপলা ভিন্ন স্বাদের খাবার হিসেবে শহরের মানুষের কাছেও এটি জনপ্রিয় ছিল শাপলা সাধারনত লাল সাদা রংয়ের বেশী দেখা যেত ছাড়াও বেশ কয়েক ধরনের শাপলা এখানকার জলাভূমিতে দেখাযেত

এর মধ্যে লাল সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে রসিকদের খাদ্য তালিকায় থাকত গুলোর পুষ্টিগুন খুব বেশী বলে জানা যায় লাল রংয়ের শাপলা ওষধি কাজে ব্যবহার করা হত এছাড়াও শাপলা ফুল দিয়ে সুস্বাদু খৈ তৈরী করে খাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন এখানকার লোকজন এগুলো গ্রামাঞ্চলেঢ্যাপের খৈবলে পরিচিত ছিল শাপলার মাটির নিচের অংশকে শালুক বলা হয় শালুক এক ধরনের খাদ্য হিসেবে পরিচিত ছিল ছেলে-মেয়েরা শালুক খায় মজা করে ধরনের উপকারী বস্তুটি আজ ¤পূর্ণ ভাবে বিলিনের পথে এক সময়ে যেখানে শাপলা শালুক দেখা যেত সেখানে আজ কচুরিপানা দেখা যায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন