চাপ কমানোর ৯ সূত্র

সন্দেশ প্রতিবেদক: যারা কাজ জানেন, তাদের আসলে কাজের শেষ নেই। কাজ মানেই ব্যস্ততা আর ব্য¯ত্মতার প্রতিশব্দই যেন চাপ। এই চাপই যত বিপত্তি গোড়া। চাপ থেকে বাড়ে রক্তচাপ, বাড়ে হৃৎস্পন্দন। আর এ দুটো থেকে যে কত রোগের শুরু তার ইয়ত্তা নেই। আর তাই চাপ যেন আপনাকে চেপে না ধরে, সে জন্য ঝটপট চোখ বুলিয়ে নিন ৯টি টিপসে।
একটু হাসুন
হাসির গুনের কথা কে না জানে। তাই ছোট্ট করে আবারও বলছি, কারণ ছাড়া সামান্য হাসিও কিন্তু মুহূর্তে আপনাকে প্রাণবšত্ম করে তুলতে পারে। হাসির সঙেগ শরীরের নানা অঙ্গে বেড়ে যায় অক্সিজেনের সরবরাহ। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে আসে চাপ। আর নিয়ম করে হাসার জন্য হাতের কাছে সবসময় রাখুন কমেডি সিনেমা কিংবা প্রিয় কোনো ফান ম্যাগাজিন। অথবা মনে করার চেষ্টা করুন অনেক আগে ঘটে যাওয়া কোনো দারুণ হাসির মুহূর্ত।


পোষা প্রাণীটা কেমন আছে?
যাদের পোষা প্রাণী আছে তাদের জন্য সুখবর। পছন্দের প্রাণীর সঙ্গে সামান্য সময় কাটালেও চাপটা সুরসুর করে কমে আসবে। পোষা প্রাণীর প্রতি ভালবাসাটা আক্ষরিক অর্থে নিঃশর্ত হয় কিনা, এ জন্যই ওর সান্নিধ্যে আসা মাত্র শরীরে প্রবাহিত হতে থাকবে ভালো লাগার হরেক হরমোন-সেরোটোনিন, প্রোল্যাকটিন ও অক্সিটসিন। চাপ বাড়ানোর হরমোনগুলোকেও নষ্ট করতে পারে এগুলো। সুতরাং যারা চাপে থাকেন, তারা এখনই ঠিক করে নিতে পারেন কুকুর পুষবেন নাকি বেড়াল।
  
ঝেড়েমুছে সাফ করুন
অল্প জায়গায় অনেক কিছু ছড়ানো ছিটানো দেখলেও অজাšেত্ম বেড়ে যেতে পারে চাপ। তাই যতটা সম্ভব সব গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। সারাক্ষণ আগোছালো পরিবেশে থাকলে কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা বিষণœতার রাসায়নিকগুলো উল্টোপাল্টা আচরণ শুরু করতে পারে।
  
ঘরের কাজ করুন
আর্থিক বিচারে দেখা যাবে ব্যবসা বাণিজ্য বা অফিসের চেয়ে ঘরের কাজের গুরুত্ব কম, কিন্তু শারীরিক বিচারে ঠিক তার উল্টো। ব্য¯ত্ম চাকরিজীবীরা নির্দিষ্ট একটা সময় ঘরের টুকটাক কাজে জড়িয়ে দেখুন, মনটা একটু হলেও ফুরফুরা মনে হবে। তবে তার আগে কী কী করতে হবে তার একটা তালিকা তৈরি করে নিতে ভুলবেন না। তালিকায়নে মিলাবে বাড়তি স্ব¯িত্ম।
  
বেশি করে জুস খান, নিজের ওপর চাপ কমান
জুস মানেই ভিটামিন সি এর আড়ত। কমলার জুস হলে তো কথাই নেই। মুহূর্তের মধ্যে চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন কর্টিসোলের পরিমাণ কমিয়ে দেবে এটি। এছাড়া চাপ কমাতে পান করতে পারেন আঙুর ও স্ট্রবেরির জুস।
  
হেঁড়ে গলার কেরামতি
কখনও গান গায়নি, এমন কেউ আছে? সুতরাং আপনিও গায়ক কিংবা গায়িকা। আর যখন তখন চাপ কমাতে চাইলে হেঁড়ে গলায় গেয়ে উঠুন হুট করে মাথায় ভর করা দুচার লাইন। আর যদি মঞ্চে গাওয়ার অভ্যেস না থাকে তবে আড়ালে গিয়ে ভুলভাল সুরে হলেও গেয়ে ফেলুন একটা কিছু। গানের উপকারিতাÑশ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করে, হৃৎপি- ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তোলে।

হাঁটা মন্দ নয়
চাপ কমানোর সবচেয়ে ভাল ও কষ্টদায়ক পন্থা হলো ব্যায়াম। তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে এনড্রোফিন হরমোন তৈরি হবে এক্ষেত্রে। উষ্ণ আবহাওয়ায় সামান্য ব্যায়ামও আপনার মুডকে তুলে নিয়ে যাবে অনেক উঁচুতে। নিদেনপক্ষে আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটিও করে দেখতে পারেন। মন ভাল হতে বাধ্য।

গভীর শ্বাস নিন
ভাল মানের সুগন্ধীর পেছনে একটু বিনিয়োগ করুন। এরপর জোরে জোরে শ্বাস নিন। এটাও রুখে দেবে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলকে। সুগন্ধী ছাড়াও এমনিতে বড় বড় শ্বাস নিয়ে দেখুন। রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়লেই  কাজের কাজ হয়ে যাবে।
  
মিলনে চাপমুক্তি
এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। বিবাহিত/বিবাহিতারা চাপ কমাতে এই তরিকা অনুসরণ করতে পারেন। সঙ্গীর সঙ্গে খানিকটা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত একদিকে চাপ কমাবে, অন্যদিকে ঘুমটাও হবে নিরুপদ্রব। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন