জাপাকে ৬১টি দিয়ে মহাজোটের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত

নতুন বার্তা: বিরোধী দলের অংশগ্রহণের অনিশ্চয়তা থাকলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও সমমনাদলগুলো। শরিক দলগুলোর জন্য ৭৩টি আসন ফাঁকা রেখেই বুধবার আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত আওয়ামী লীগ ২২৭টি আসনের মনোনিত প্রার্থীদের হাতে শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত প্রতীক বরাদ্দের চূড়ান্তপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোটের শরিকদের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠকে সমঝোতা আসনের পত্র হস্তান্তর করা হবে। সমঝোতা হিসেবে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) জন্য ৬১টি আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের ৪টি করে আসন পেয়েছেন।আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি(জেপি) ও তরিকত ফেডারেশন পাচ্ছেন দুটি করে আসন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে সম্মতি হলে ছেড়ে দেয়া ৬১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্র্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে, যাতে করে জাপার প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন।

বুধবার রাতে গণভবনে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয় বলে সুত্র জানিয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে গণভবনের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো দুই দলের সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার যে কথা বলেছেন, সেটি অব্যাহত রাখবে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, বিরোধী দল সহিংসতা বন্ধ করলে আটক নেতাদের মুক্তির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্তসহ তাদের সঙ্গে যেকোনো সমঝোতা হওয়া সম্ভব। নির্বাচনের তারিখ পেছানো হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এ বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। কেউ এল কি এল না, সেটা বড় কথা নয়। জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না, সেটাই বড় কথা।

সূত্র জানায়, বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ না থাকলেও আসন সমঝোতা নিয়ে দলটির সিনিয়র তিন নেতা রওশন এরশাদ, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত এরশাদ নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির অপর অংশকে নিয়েই নির্বাচনে যাবে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টিকে রংপুর বিভাগেই সর্বাধিক আসনে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। দলটির প্রধান এরশাদসহ অধিকাংশ সিনিয়র নেতার আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী দেয়া হবে না বলেও শাসক দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারে বৈঠকেই আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন