’৯০ শতাংশ জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে’

সিবিএন: নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামী ও সমমনা দলগুলো। এ নির্বাচনকে একদলীয় প্রহসন ও তামাসার নির্বাচন অভিহিত করে দলগুলোর নেতারা বলেন, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ঠিকমতো ভোট দিতে পারে না, এজন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি। রবিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এ সব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী : বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের জনগণ সরকারের একদলীয় প্রহসনের নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে এমন দূরবস্থার নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি। দেশের শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশী মানুষ এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতি তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ন্যাপ : ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেনে, ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে দেশবাসী প্রমাণ করেছে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার আওয়ামী স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না।

রবিবার বিকেলে নয়াপলনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

কল্যাণ পার্টি : বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, সিলেটসহ অনেক জেলার ভোটকেন্দ্রে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ভোটার যাননি।

ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ‘১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারই প্রমাণ করে জনগণ আওয়ামী লীগের একতরফা প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে।

জমিয়তে উলামজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি চুড়ান্ত অনাস্থা জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে ও নেতারা। তারা বলেছেন, ‘এখনো সময় আছে পদত্যাগ করে নিজেদের পিঠ বাঁচান। জনতা দেখিয়ে দিয়েছে যে, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই।

খেলাফতে ইসলাম : খলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান রবিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেও আওয়ামী লীগের একগুয়োমীর ফলে আজকের তথাকথিত নির্বাচন সেই জৌলস থেকে ছিল পুরোপুরি বঞ্চিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন