মহেশখালীতে পশু হাসপাতালের কম্পাউন্ডার পাচার চক্রের গডফাদার

ছৈয়দ মোস্তফা আলী, মহেশখালী প্রতিনিধি
ককসবাজারের মহেশখালীর একমাত্র পশু হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অনিল দে, মৃত্যু ও রোগাক্রান্ত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মুরগী উপজেলার বিভিন্ন হোটেল রেস্তুরায় সরবরাহ করে থাকে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২২ মে ঘোনাপাড়া এলাকার এক রোগাক্রান্ত ছাগল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে মালিক পক্ষ থেকে স্বল্প মুল্যে ক্রয় করে তার গড়ে তুলা পাচার চক্রের মাধ্যমে এক কসাই খানায় বিক্রি করার খবর এলাকায় জানাজানি হলে তখন তার পুর্বেকারের কল্প কাহিনী কোন কোন হোটেঁল রেস্তুরায়, বিবাহ বাড়ি ও অন্যান্য অনুষ্টানে পাচার চক্রের গড়ফাদার অনিল ও তার গড়ে তোলা পাচার চক্রের সদস্যরা পাচার করেছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। পাচার চক্রের গড়ফাদার মহেশখালী পশু হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অনিল দে চাকুরির নাম দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সরলমনা পশু পালন কারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার নাম দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসে না থেকে তার পুরো মদ্যপায়ী বাহিনীদের নিয়ে মদের আড্ডা খানায় ব্যস্ত থাকে কেহ প্রতিবাদ করতে চাইলে স্থানীয় লোক বলে প্রভাব দেখায় এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ও প্রভাব দেখায়। নিয়মিত মদ্যপান করে রাস্তাঘাটে মাতলামি করে সম্প্রতি মাতাল অবস্থায় মহেশখালী থানা লাইন্সেস বিহীন মোটরযান সহ গ্রেপ্তার করে পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান। ভোক্তভোগীরা জানান, মদ্যপায়ী অনিল পশু হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে যতসব অবৈধ কাজকর্ম চলতেছে তার কোন সীমা নাই তিনি নিয়মিত কোন অফিস করেনা যারা অফিসে আসে তাদেরকে প্রচুর পরিমানে হয়রানী করে। এই মুহুর্তে গ্রেপ্তার করা সময়ের দাবী নচেৎ আমরা কঠোর কর্মসুচী দিতে বাধ্য হব। পৌরসভার পশু হাট বাজারের ইজারাদার ছিদ্দিক আহমদ জানান, হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অনিল একটি রোগাক্রান্ত ৭ কেজি ওজনের ছাগল ১৫ শত টাকা দিয়ে এক কসাই খানায় বিক্রি করে দিয়ে আমাকে কোন হাসিল পর্যন্ত দেয় নাই। পশু হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর বন বিহারী চৌধুরী জানান, ঘটনাটির ব্যাপারে আমি পুরাপুরি ওয়াকিবহাল নহে কারন সকাল থেকে অফিসিয়াল কাজে বাহিরে ছিলাম। কম্পাউন্ডার অনিল জানান, ঘটনাটি আসলে এ রকম নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন