ফরিদুল মোস্তফা খান, আমাদের সময় ডটকম: শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো’র প্রভাব বিস্তার করে কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলা থেকে মাসিক প্রায় ৫ লাখ টাকার মাসোহারা তুলছেন দৈনিকটির স্থানীয় স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল কুদ্দুস রানা। একই সাথে তিনি সীমান্ত জনপদ টেকনাফের কয়েকজন বাঘা ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে গোপনে বিনা পুঁজিতে ভয়ংকর এই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে পুঁজি করে আব্দুল কুদ্দুস রানা দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে ইয়াবা বাণিজ্যের মুনাফার প্রায় ৫ লাখ টাকা ও জেলা পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাছ থেকে আরো ২ লাখ টাকাসহ মাসে সর্বমোট প্রায় ১২ লাখ টাকা উপার্জন করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, উপার্জিত এই টাকায় পর্যটন শহর কক্সবাজারে রাজারহালে চলেন সাংবাদিক নামধারী এই বিপদগামি ব্যক্তি।
পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন অভিজাত বাসভবনে। শহরের আলিশান একটি আবাসিক হোটেলে অফিস করেন তিনি। গ্রামের বাড়ি টেকনাফের এক সাধারণ পরিবার থেকে পেশার অজুহাতে কক্সবাজার আসা তথাকথিত জাতির এই পথ প্রদর্শক হাকান নামিদামি সব ব্র্যান্ডের স্যুট, কোট, টাইসহ বাহারি পোশাক-আশাক। রাজপুত্রের মত অফিসে লক্ষাধিক টাকার এলইডি টেলিভিশন, হাতে অত্যাধুনিক মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সৌখিন সব জিনিসপত্র ব্যবহার করেন তিনি। তবে আবদুল কুদ্দুস রানা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি পেশাদার একজন সাংবাদিক। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সবসময় তিনি শক্তিশালী অবস্থান নেন, তাই সংক্ষুব্ধরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিনাকারণে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবদুল কুদ্দুস রানা আরো বলেন, আমি প্রথম আলো থেকে যে বেতন ভাতা পাচ্ছি তা দিয়েই মোটামুটি জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছি। নিজের ব্যাংক একাউন্টে উল্লেখযোগ্য কোন টাকা পয়সাও সঞ্চয় নেই বলে দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমি যদি ইয়াবা ব্যবসা কিংবা কোন অনৈতিক রোজগারে জড়িত থাকতাম, তাহলে আমার একাউন্টে লাখ লাখ টাকা থাকত। তবে আবদুল কুদ্দুস রানার এসব বক্তব্য অস্বীকার করে তার গ্রামের বাড়ি টেকনাফ উপজেলার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক এত কিছু করেন, সাংবাদিক পরিচয়ে আলাদিনের চেরাগের মত মফস্বল থেকে শহরের রাজপুত্রের মত জীবনের অধিকারী এই ব্যক্তির সহায় সম্পদের খোঁজ নিলে আসল তথ্য বের হবে। কিছুদিন আগে তিনি কী ছিলেন এবং বর্তমানে কি রূপ ধারণ করছেন, তার আয়ের উৎস কি? আয়কর ও রাজস্ব পরিশোধ করেন কিনাসহ সংশ্লিষ্টরা তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালালেই বের হবে আসল তথ্য। উন্মোচিত হবে সাংবাদিকতার আড়ালে বেড়ে উঠা একজন অপরাধীর ভয়ংকর কাহিনী।
টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী ইসলাম জানান, শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার এই সাংবাদিকের স্থায়ী ঠিকানা টেকনাফে, এটা তিনি শুনেছেন কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে যতদূর জেনেছেন, আসলেই তার পূর্ব পুরুষ রোহিঙ্গা। শুধু তাই নয়, মেয়র হাজী ইসলাম বলেন, এলাকায় দারুণ আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যক্তির শ্বশুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার শহরে তার শ্বশুর সম্পর্কীয় অপর এক নিকটাত্মীয় রয়েছেন, যিনি ভয়ংকর মাদক ইয়াবার পাইকারি বিক্রেতা। মেয়র আরো বলেন, শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর মত প্রভাবশালী একটি দৈনিকের নাম ব্যবহার করেই ভয়ংকর এই অপরাধীর উত্থান। ফলে তার অনেক কুকীর্তি স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ লোকজন জানলেও নিজেদের সম্মানহানীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। কারণ সাংবাদিকতার আড়ালে হরেক অপকর্মে লিপ্ত এই ব্যক্তি এতই ভয়ংকর যে, নিজের স্বার্থের জন্য তিনি যে কোন সময় একজন ভাল মানুষকেও খারাপ বলে পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়ে ক্ষান্ত হন না, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা তার অপকর্মের প্রশ্রয়দাতা দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ব্যবহার করে তিনি ক্ষতিসাধন করেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজার জেলায় এই ব্যক্তির সব অপকর্মের প্রশ্রয় দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের একশ্রেণির কিছু দূর্নীতিবাজ ব্যক্তি রয়েছে, যারা নিজেদের অপকর্ম ফাঁসের ভয়ে আবদুল কুদ্দুস রানার সব অনৈতিক কর্মকান্ডকে সমর্থন করেন। জানা গেছে, সীমাহীন ধূর্ত এই ব্যক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে ট্যাবলেট প্রতি একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা কমিশন না দিলে তিনি গণমাধ্যম ও প্রশাসন যৌথভাবে ব্যবহার করে ওই ব্যবসায়ীকে সর্বশান্ত করে। কমিশন পেলেই তিনি একইভাবে প্রশাসন ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রথম আলো দেশের শীর্ষ দৈনিক হওয়ায় তিনি পত্রিকাটির উচ্চ পদস্থ অনেকের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সীমান্তের ভয়ংকর এই মাদক ব্যবসায় শেকড় গেঁড়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভয়ংকর এই ব্যবসার জন্য নগদ কোন টাকা বিনিয়োগ কিংবা পরিশ্রম করে নয়, শুধুই সুবিধা-অসুবিধার হিসাব দেখিয়েই আবদুল কুদ্দুস রানা দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্মে জড়িত থাকলেও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা এখনো তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নি।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ভয়ংকর এই ব্যবসায় সম্পৃক্ত যাকেই হাতেনাতে পাওয়া যায় কেবল তার বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কেউ যদি পর্দার অন্তরালে থেকে এই ব্যবসার মধু উপভোগ করেন, তাহলে শুধু শুনা কথা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়া যায়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজারে কর্মরত গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, শুধু কক্সবাজার জনপদ নয়, দেশের জন্য ভয়ংকর অশনি সংকেতের এই ব্যবসার নেপথ্যে অনেক ভদ্র লোকের সম্পৃক্ততা রয়েছে, উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণের অভাবে তাদেরকে কোন অবস্থায় আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কাজেই একটি দৈনিকের সাংবাদিক কেন কক্সবাজার ও টেকনাফে ভদ্র লোকের মুখোশ পরিহিত অনেক সাংবাদিক নামধারী দেশদ্রোহী রয়েছেন, যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইয়াবা, চোরাচালানসহ নানা অপকর্মে জড়িত থেকে রাজার হালে জীবন কাটাচ্ছেন আর তারাই শ্রুতিমধুর নানান কিস্সা কাহিনী প্রকাশ করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।
হালাল টাকায় ইয়াবা ব্যবসা ঃ
‘হালাল টাকা দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করি। এটা আবার অবৈধ হয় কেমনে? আমরা হারাম খাই না, নিজের টাকা খাটাইয়া হান্ড্রেড পার্সেন্ট হালাল রুজি করি’। এই বক্তব্য টেকনাফের একজন উল্লেখযোগ্য ইয়াবা ব্যবসায়ীর। কেবল এই ব্যক্তিই নন। টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের অধিকাংশ ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা আমদানি, পাচার ও এর ব্যবসাকে অবৈধ ব্যবসা হিসেবে দেখেন না এবং প্রায় সবারই এ বিষয়ে বক্তব্য এক ও অভিন্ন। একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাপের জমি বেচা টাকা দিয়ে এ ব্যবসা করি। শতভাগ হালাল টাকার ব্যবসা। বর্মাইয়া দালালরা মংডু থেকে নিয়ে আসে। আর টেকনাফে আমরা তাদের থেকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে ব্যবসা করি। এটা আমার কাছে অবৈধ মনে হয় না। এই দানার ব্যবসা করে আমরা বেকারত্ব দূর করছি। বাড়িতে ভালো ঘর করছি। দামি বাইক কিনছি। ভাইরে বিদেশে পাঠাইছি, আর বোনকে বিয়ে দিছি’।
ওই ব্যবসায়ী আরো বলেন, মায়ানমার থেকে এসব ইয়াবা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকানো হয়। তবে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। টেকনাফে পৌঁছানোর পর টেকনাফ থেকে কক্সবাজার হয়ে সারা দেশে বিশেষ কৌশলে ছড়িয়ে পড়ছে এই ইয়াবা। তার মতে, সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে এই ইয়াবার ক্রয়-বিক্রয়, গ্রাহক ও চাহিদা। অতি অল্প সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারিতে পড়লেও সমঝোতার মাধ্যমে সহজে ছাড়া পাওয়া যায়। কিভাবে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সায়েন্সের যুগ। একবার হ্যালো করলেই তো হয়ে যায়। মোবাইল ফোনে সহজে কথা বলে আন্ডারগ্রাউন্ডের ব্যবসায়ীদের রকমভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়। দাম-দর ঠিক হলে পাচারকারীর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করি। এজন্য সাংবাদিক, পুলিশ, বিজিবি যাকে যখনই দরকার নগদ টাকায় আমরা ব্যবহার করি। উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আরো বলেন, সাংবাদিক প্রশাসন কিছ্ইু বুঝিনা যাকে দিয়েই আমরা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারি তাকেই উপযুক্ত কমিশন দিই। ইয়াবা কখন পৌঁছাবে, এখন কোন জায়গায়, কোন সমস্যা হয়েছে কি না ইত্যাদির বিষয়ে মোবাইলে কথা বলে নিই। তবে এক নাম্বার আমরা বেশি দিন রাখি না। বার বার ফোন নাম্বার চেঞ্জ করি।
অনেক সময় মোবাইলে রুপক অর্থ ব্যবহার করেন বলে জানান এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, কথা বলার সময় যদি অপরিচিত মানুষের সামনে পড়ে যাই তখন ইয়াবাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করি। অনেক সময় বিভিন্ন সংকেতও ব্যবহার করি। যেমন ইয়াবার দাম ও আকার নির্ধারণ করতে বলি বড় ভাই কতো, ছোট ভাই কতো বলে।
ইয়াবা মাফিয়াদের দখলে বিশ্বের বৃহৎ মাদক পাচার রুট ঃ
মায়ানমারের ৩৭ কারখানায় তৈরি ১৩ ধরনের ৩০ লাখ পিস ইয়াবা প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। এছাড়াও থাইল্যান্ডে উৎপাদিত ২ ধরনের ইয়াবা মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। শুধু ইয়াবা নয়, বর্তমানে এ রুটে আবার ফিরে এসেছে সিল্ক রুটের অন্যতম পণ্য হেরোইন। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বিশ্বের অন্যতম মাদক ট্রানজিটে পরিণত হবে বাংলাদেশ। প্রতিদিন এদেশে ঢোকা ৩০ লাখ পিস ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ইয়াবা প্রবেশ করে বাংলাদেশে। এই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে-কানাচে। এরই মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব শুরু হয়েছে সমাজে। যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বাবা-মায়ের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ঐশী। আর এ বিশাল বাজার ও মাদক রুট নিয়ন্ত্রণের জন্য এরই মধ্যে পাচারকারীদের মধ্যে শক্তি সঞ্চারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর এ কারণে মাঝে মাঝেই প্রকাশ্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কক্সবাজারের এই ইয়াবা ব্যবসা যেসব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক এক মাফিয়া চক্রের সঙ্গে। এই মাফিয়া চক্র টেকনাফের গডফাদারদের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর অনেক দেশে। এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ দেশের সকল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর এবং বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে রয়েছে এই গডফাদারদের যোগাযোগ। কিছুদিন আগে টেকনাফের বিতর্কিত রাজনৈতিক এক নেতা দুই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে তিন লাখ পিস ইয়াবা মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতার খুব কাছের মানুষ হওয়ায় বিতর্কিত ওই ব্যক্তিকে আটকাতে পারেনি কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে বিষয়টি চাপা থাকেনি। কক্সবাজারের প্রায় সবার কাছেই বিষয়গুলো ওপেন সিক্রেট। কক্সবাজার প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়গুলো এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, হয়তো কিছুদিন পর আর কিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে না।
তিনি বলেন, প্রশাসনের প্রায় সব বিভাগই এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আবার অনেকেই অনেকটা বাধ্য হয়ে জড়িয়ে পড়েছেন এই সর্বনাশা ব্যবসার সঙ্গে। সরকারি একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এক এক বিভাগ এক এক বিভাগকে এ ব্যবসায় সহায়তা করছে। আর এই সহায়তায় মিলছে কোটি কোটি টাকার বিলাসী জীবন ও স্থাবর স¤পদ। সরেজমিনে জানা গেছে, টেকনাফের ইয়াবা গডফাদারদের নেতৃত্বাধীন প্রতিযোগী দলগুলো এরই মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অস্ত্র সংগ্রহে নেমেছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে তথ্য আছে, মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ভারী অস্ত্র সংগ্রহ করছে। তাদের কাছে একে-৪৭ অস্ত্র খুবই সহজলভ্য।
তিনি বলেন, আমি আমাদের উর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানিয়েছি। তবে এখনই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অচিরেই বিষয়টি ভয়াবহ রূপ নেবে। পরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তও আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তের মতো ভয়াবহ মাদক সম্রাজ্যে পরিণত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন