কক্সবাজার বন বিভাগের ৪ মামলার আসামী হলেন ডাঃ সালাম

সরকারি পাহাড় ও গাছ কাটার অভিযোগে

এম.আমান উল্লাহ

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পার্শ্বে সামাজিক বনায়নের তিন শতাধিক গাছ কেটে বনভূমি দখল ও পাহাড় কাটার অভিযোগে জেলা কারাগারের চিকিৎসক ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবদুচ সালামের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দায়ের  করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন । গত ১৫ মে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে  কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে উখিয়া ও কক্সবাজার সদরে ৩টি বন মামলা রয়েছে। ৪টি মামলার আসামী হওয়ার পরেও তিনি সরকারী পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এদিকে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ও এমআইএস আ্যাসিসিটি ডা. আবদুচ সালাম দীর্ঘ দিন ধরে সরকারী চাকুরী জীবী হয়েও বিভিন্ন পরিবেশ বিধংসী মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। গত ১৪ মে রাতে ডাঃ আবদুচ সালামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পার্শ্বে ঝিলংজা বনবিটের ২০১১-১২ সালের সৃজিত সামাজিক বনায়নের ৩ শতাধিক গাছ কেটে বনভূমি দখল ও নির্বিচারে পাহাড় কেটে ফেলে । ডা. আবদুচ সালাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত থাকার পাশাপাশি জেলা কারাগারের চিকিৎসকের দায়িত্বও পালন করছে। সেখানেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজতীদেরকে টাকার বিনিময়ে ভুঁয়া চিকিৎসা সনদ বিক্রির অভিযোগ। তার দেয়া এসব ভুঁয়া চিকিৎসা সনদ নিয়ে অপরাধীরা সহজেই আদালত থেকে নিয়ে জামিনে নিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছে অনেক সিনিয়র আইনজীবী। এদিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বিপুল কৃঞ্চ দাশ জানিয়েছে, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কর্মরত সরকারী চিকিৎসক হয়ে  দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি দখল ও বনের গাছ নিধনে করে আসছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে উখিয়া ও কক্সবাজার সদরে আরও ৩টি বন মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানায় জিডি করে পুলিশ নিয়েও কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে এই চিকিৎসক তার অবৈধ দখলবাজিতে নিজ স্ত্রীকে ব্যবহার করার মত নোংরামি আর কিছু হতে পারেনা।  এ বিষয়ে ৪ মামলার অভিযুক্ত ডাঃ আবদুচ সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই সব আমার দখলীয় জমি, বন বিভাগের জমি নয়। আমার জমিতে আমি কাজ করছি। বন বিভাগ আমাকে হয়রানী করার জন্য একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন