কথার টক্করে প্রাণবন্ত সংসদ



বাংলানিউজ
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী ও বিরোধী দলের অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কথার টক্করে হঠাৎই প্রাণবন্ত হয়ে উঠল সোমবারের সংসদ।
অধিবেশন কক্ষে ঢুকেই বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে মওদুদ আগের দিন অধিবেশনে দেওয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্যের সূত্র ধরে তার সমালোচনা শুরু করেন। শুরু হয় ব্যক্তিগত আক্রমণ। মওদুদের বক্তব্যে লাগাম টানতে সরব হন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, মওদুদ সাহেব, সুরঞ্জিত বাবুকে উদ্দেশ্য করে নয়, আমাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলুন। এমন আহবানের জবাবে যেন বাঘা তেঁতুল হয়ে ওঠেন চৌকস মওদুদ।

তিনি বলেন, ধন্যবাদ মাননীয় স্পিকার। সুরঞ্জিত বাবু পাশের জনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তো তাই তার মনোযোগ আকর্ষণ করছিলাম। তাদের বক্তব্যের সময়ে আমাদের শুনতে হবে। আর আমাদের বক্তব্য তারা শুনবেন না তা তো আর হয় না।

এরপর ‘মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে বলছি’ বলে সরকারের কড়া সমালোচনা শুরু করেন মওদুদ।

তার বক্তব্যের সময়ে দফায় দফায় অধিবেশন কক্ষ মুখরিত হয়ে ওঠে। কখনও সরকারি দলের্ সদস্যরা দুয়োধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে টেবিল চাপড়ে মওদুদের কথার প্রতিবাদ জানান। কখনওবা তারই রাজনৈতিক সতীর্থরা টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। স্পিকারের দেওয়া ৩০ মিনিট পুরো সংসদ একাই জমিয়ে রাখেন মওদুদ।

মাঝেমধ্যে তার বক্তব্যে অধিবেশনকক্ষজুড়ে হাসির রোলও পড়তে থাকে। তবে উভয় দলই সংযমের পরাকাষ্ঠা দেখানোয় শেষতক মওদুদের সময়টা সংসদ প্রাণবন্তই থেকেছে।

প্রসঙ্গত, বিকেল ৫টা ৮মিনিটে অধিবেশন শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর সংসদে আসে বিরোধী দল। সন্ধ্যা ৬টার পরপর তারা অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার ১৮ দলীয় জোটে বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল থাকায় বিরোধী দল হরতাল চলাকালে অধিবেশনের যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই তারা অধিবেশন কক্ষের পাশের লবিতে অবস্থান নেন।

সন্ধ্যা ছয়টায় হরতাল শেষ হলে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা একযোগে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। 
বিরোধী দল প্রবেশ করা মাত্রই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বক্তৃতার জন্য আধাঘণ্টা সময় দেন স্পিকার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন