সাইফুল ইসলাম চৌধুরী
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ এরাকার মানুষ চরম কষ্টে দিন যাপন করছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে দ্বীপের মানুষকে নৌকায় করে পারাপার করতে হচ্ছে। ২০১২ সালের ২৩ জুলাই বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের তোড়ে বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর পানির ঢলে শাহপরীর দ্বীপ-টেকনাফ সড়কের রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়।
প্রায় এক বছর ধরে এ রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলেও এখনো পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ এক বছর ধরে টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর শাহপরীর দ্বীপ দেখতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার পর্যটক আসে। চলতি বছরে পর্যটকরা আসতে শুরু করলেও কেউ সহজে এ দ্বীপে যেতে পারেনি। এ রাস্তার প্রায় তিন কিলোমিটার ভেঙ্গে যাওয়া পথ অতিক্রম করে শাহপরীর দ্বীপ যেতে বেশ কয়েকবার গাড়ী ও নৌকা বদল করতে হয়। এতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই পর্যটকরা সেখানে যেতে আগ্রহ হারায়। আর যারা শাহপরীর দ্বীপে বসবাস করছে তাঁরা যেন এ কষ্ট মেনেই নিয়েছে। কারণ মেনে না নেওয়ার কোন উপায় নেই তাদের।
অনেকে বলছে, শাহপরীর দ্বীপও বদর মোকামের মত সাগড়ে বিলীন হয়ে যাবে। রাতের সময় এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া অনেক বড় ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা ভাঙ্গাকে পুঁজি করে প্রতিনিয়ত রাতের আধাঁরে সাধারন মানুষ ডাকাতের কবলে পড়ে টাকা-পয়সা হারাচ্ছে এবং মারধরের শিকার হচ্ছে। বেড়িবাধের পানির ঢলের কারনে শুধু রাস্তা নয়, মানুষ দেড় হাজার একর লবনের চাষ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। কিছুদিন আগে কর্মসংস্থান কমসূর্চীর আওতায় ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বাধটি মেরামত কাজ শুরু করা হলেও পূর্ণিমার জোয়ারের তোড়ে ভেস্তে যায়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, কাজের মান ভাল না হওয়াই মেরামতের আগে ভেঙ্গে গেছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে নৌকায় পারাপার করলেও স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন