প্রতি মাসে ইয়াবার বদৌলতে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার হয়ে যায়
মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী
জাদীমুড়া, নাইথংপাড়া ও নাজির পাড়া এ ৩টি বহুল আলোচিত চোরাইপয়েন্ট হ্নীলা, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন এবং অপরটি টেকনাফ পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর নাইটং পাতড়ার সড়ক ও জনপথ
বিভাগের রাস্তার পাশ্বে স্থানীয় চোরাকারবারীরা এ ৩টি চোরাপয়েন্টকে যুগ যুগধরে ব্যবহার করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে এ ৩টি চোরাইপয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে, জ্বলানী, ইউরিয়াসার ওষধ ভোজ্যতৈল, জম্মনিয়ন্ত্রন সুখী বড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। অপরদিক মিয়ানমার থেকে বাংলাদশে যে, সব পন্য প্রবেশ করে তার মধ্যে ইয়াবা মাদকদ্রব্য চিংড়ী, ও রোহিঙ্গা নাগরিক। এ ৩টি চোরাইপয়েন্ট বনাম ঘাট হিসাব পরিচিত। ৬ টি হস্তচালিত নৌকা প্রতিনিয়ত সকাল সন্ধা এপাড় ওপাড় আসা যাওয়া করে আসছে। সীমান্ত রক্ষীও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে এ ৩টি ঘাট চুক্তির মাধ্যমে চলে এবং এসব টাকা মাস শেষে টপটু বটম ভাগভাটোয়ারা চলে যাচ্ছে । জাদীমুড়া ও নাইথংপাড়া এ ২টি চোরাইপয়েন্ট বনাম ঘাট আদম বা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার ্কমাত্র ঘাট। আদম ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার একমাত্র ঘাট হিসাবে পরিচিত। সকাল সন্ধায় ৪টি হস্তচালিত নৌকা সীমান্ত রক্ষীতর চোখের সামনে আসা যাওয়া করে থাকলেও বিজিবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে। মূলত এ ২টি চোরাইঘাট রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার ঘাট হিসাবে পরিচিত। প্রতি সপ্তাহের ৪/৫ দিন এ ২টি চোরাই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। একজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে খরচ হয় ১২ শত টাকা। নৌকাভাড়া জনপ্রতি ৩শত টাকা এবং বাকি টাকা নাসাকা বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থার কাছে ভাগ ভাটোয়ারা হয়ে যায়। এর জন্য মাশুল দিতে হচ্ছে, দেশ ও জাতীকে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের মানব পাচারকারী দালালেরা এসব ঘাট নিয়ন্ত্রন করে আসছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার পর চুরি, ডাকাতী, চোরাচালানী কাজে জড়িত হয়ে অবশেষে জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা। অপর চোরাইপথ টেকনাফ সদর নাজির পাড়া সীমান্ত পয়েন্ট এবং এটি ইয়াবার ও মাদক প্রবেশের জন্য খ্যাত। এ পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে বানের স্রোতের মত চলে আসছে ইয়াবার ও মাদকের চালান। বিজিবি এ পয়েন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান ইয়াবাও মাদক আটক করে থাকে। এজনপদের নাজির পাড়া, মৌলবী পাড়া ও ছোট হাবিব পাড়া ইয়াবা পাড়া হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এখানকার প্রায় যুব সমাজ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত এবং এখান থেকে ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসা করে অনেকেই রাতারাতী বনে গেছেন অর্থও বিত্তের মালিক। এ ৩টি পাড়ায় যে হারে অত্যাধুকিন ভবন গড়ে উঠেছে তার আয়ের একমাত্র উৎস্য ইয়াবা। গত ৪ বছরে যারা জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন, তারা অবশ্যই ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী বলে জনশ্র“তি রয়েছে। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান, জিয়াউর রহমান, একরাম, মোঃ ছিদ্দিক অন্যতম। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা শাসকদলের নেতার আশ্রয় ও পশ্রয়ে এ ব্যবসা করে আসছে। এ ৩টি পাড়া থেকে ইয়াবাসহ ইতিপূর্বে বিজিবি ও পুলিশের হাতে ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী আটক হলে ও তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে জামিনে চলে এসে পূনরায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বীর দর্পে । প্রতি মাসে ইয়াবার বদৌলতে টেকনাফ সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সীমান্তের দায়িত্বশীল সূত্রের প্রেক্ষিতে জানা গেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এসব টাকা স্থানীয় বেসরকারী ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে বলে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন