ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারীতে ভাঙ্গারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চোর চক্র বাড়ছে

ইব্রাহীম খলিল
কক্সবাজার রামুর ঈদগড়-ঈদগাঁও এবং পার্বত্য বাইশারীতে ভাঙ্গারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চোর চক্র। এই সব ব্যবসার উপর প্রশাসনের তেমন কোন নজরদারী নেই।
ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চোরাই লোহা বিক্রি হচ্ছে ভাঙ্গারী দোকান গুলোতে। লোহার দাম বাড়ার সাথে সাথে জম জমাট এ ব্যবসারও প্রচার ঘটেছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাঙ্গারী মালামাল বিকি-কিনির দোকান। এইসব দোকান মালিকদের সহযোগীতায় গড়ে উঠেছে একাধিক চোরের দল। এই সব চোরের দল বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্যালো যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক মোটর, তার, বৈদ্যুতিক ট্রান্স মিটার, দরজা-জানলার গ্রীল, টিউবওয়েল, টিন, যানবাহনের যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে দোকান গুলোতে বিক্রি করে থাকে। বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, নলকুপের মুখ চুরি হওয়ার কারণে প্রায় শতাধিক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন কারখানা সংষ্কার কাজের জন্য রাখা রড, তার, লোহা চুরি হয়ে যাওয়ার অহরহ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, কিছু মাদক সেবী বাড়ি থেকে যখন নেশার টাকা যোগাড় করতে না পারে তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে। আর চুরি করা মালামাল ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ঈদগড় এলাকার জনৈক কর্মকার জানান, চিহ্নিত একজন মাদক সেবী তার বাড়ি থেকে লোহার রড সহ বিভিন্ন জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। ঈদগাঁও এলাকার একজন চান্দের গাড়ীর মালিক জানান, কিছুদিন আগে চুরের দল তার গাড়ি থেকে ব্যাটারী সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায়। অন্য একজন গাড়ির মালিক জানান, তার গাড়িটি মেরামতের জন্য বাসষ্টেশনে রাখা অবস্থায় অতিরিক্ত চাকা ও এক্সেলটি চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী জানান, এক শ্রেণীর যুবকদের কাছ থেকে তারা লোহাজাত সহ বিভিন্ন দ্রব্য কিনে থাকেন। তিনি আরো বলেন, মালামাল পাই বলে তাই টাকা দিয়ে কিনে নিই। জনৈক পুলিশ অফিসার জানান, এই রকম ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন