জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ’র জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর কাছে কক্সবাজার কমার্স অব চেম্বারের প্রতিবেদন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিগত ৮ জুন কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ প্রসংগে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর কাছে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন। 

চেম্বার সভাপতি মোহাম্মদ আলী কর্তৃক পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলা পাহাড়, সমুদ্র, দ্বীপ, উপদ্বীপ, নদী, প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, চিংড়ী, লবণ, গাছ, উপকূল সমতল সমন্বয়ে অবস্থিত একটি বৈচিত্রময় জেলা। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই জেলা। সাথে সাথে জীব বৈচিত্রের ও সমারোহ। পৃথিবীর নিরবিচ্ছিন্ন দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজারে। সত্যিই দুঃখজনক অযন্তে অবহেজলায় কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই প্রেক্ষাপটে কক্ সবাজারের জীববৈচিত্র রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের অক্ষুন্ন রাখতে হবে। কক্সবাজারের সম্পদ নিয়ে ধ্বংসের যে তান্ডব চলছে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে তা কালবিলম্ব না করে বন্ধ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জীববৈচিত্র ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের পরিণতিতে উপকূলে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন, জেলিফিশ, তিমিমাছ, বৃহদাকায় কচ্ছপ, হাঙগর ও বিভিন্ন প্রকারের মাছ। চিংড়ি পোনা আহরণের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংসের ফলে সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। 
এতে আরো বলা হয়, পাথর উত্তোলনের ফলে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভাঙ্গনের কবলে এবং সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস করার ফলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় সোনাদিয়া দ্বীপ আজ দ্বিখন্ডিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সর্র্বোপরি কক্বাজার জেলার ২১ হাজার একর বিশিষ্ট উপমহাদেশের অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট কক্সবাজার জেলা হেরিটেজ (ঐতিহ্য) ‘চকরিয়া সুন্দরবন’ মানুষের নিষ্টুরতায় আজ নিশ্চিন্ন হতে চলেছে। উক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী ও উপকূলীয় জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে নিুলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ অনিবার্য বলে চেম্বার কর্তৃপক্ষ মনে করেন। যেমন-(ক) উপকূল জুড়ে সংরক্ষীত বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ করা (খ) কক্সবাজার উঁচু পাহাড় কাটা বন্ধ করা। (গ) সেন্টমার্টিন ও অন্যান্য স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা। (ঘ) উপকূলে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার এবং অবাধে চিংড়ি পোনা আহরণ বন্ধ করা। (ঙ) সৈকতে সবুজ বেষ্টনীর ঝাউবন ধ্বংস (কাটা) বন্ধ করা। (চ) পাহাড়ে আগুন দিয়ে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র ধ্বংস বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, ১০ জুন ২০১৩ইং মন্ত্রী সভার এক বৈঠকে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৩-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজার চেম্বার কর্তৃপক্ষ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন