কক্সবাজারে ওষুধের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের আয় বৃদ্ধি না হলেও ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বাধ্য হচ্ছে জীবন বাঁচাতে বেশি দামে ওষুধ কিনতে।
হটাৎ করে ওষুধের মূল্য এত বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হিসেব মিলাতে পারছে না নির্ধারিত আয়ের মানুষেরা। ওষুধের বেপরোয়া মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও কোনো মনিটরিং নেই। এ সুযোগে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা নতুনভাবে স্টিকার লাগিয়ে বেশি মূল্যে ওষুধ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। বাজার মনিটরিং না থাকায় যে যেভাবে পারছে ব্যবসা চালিয়ে যচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, দেশে ২২ হাজার আইটেমের ওষুধ উৎপাদন হলেও মাত্র ১১৭ আইটেমের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার। বাকি হাজার হাজার ওষুধ এর দাম নির্ধারণ করে থাকে স্ব স্ব কোম্পানি তাদের ইচ্ছা মতো। সরেজমিনে কক্সবাজারে ওষুধের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকল প্রকার ওষুধের মূল্য ১০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সান কোম্পানির সিজোডন টু ৩০০ টাকার স্তলে ৬০০ টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের এন্ট্রাসিড সিরাপ হঠাৎ করে ৩২ থেকে ৬৫ টাকা, এন্ট্রাসিড প্লাস সিরাপ ৫৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা, সিডিল ট্যাবলেট ৬ থেকে ১৩ টাকা, ইনসেপ্টার মায়োলাস্ক একপাতা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রেডিয়েন্ট কোম্পানির নেপ্রসিন ১২ থেকে ১৫ টাকা, গ্লিক্লিজাইড গ্র“পের মূল্য বাড়ানো হয়েছে পাতা প্রতি ১০ থেকে ২৫ টাকা, প্যাসিফিকের মেটকো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, এক্সআর ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, ব্রাগ ইন্টারন্যাশনালের ওবামেট প্রতিবক্স ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, স্কয়ারের কমেট প্রতিবক্স ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, রিউক্যাপ প্রতিপাতা ৬০ থেকে ১০০ টাকা, পেনটোনিক্স ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পপুলারের পেনটোগেট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, এরিস্টোফার্মার এবলোক সিরাপ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বায়োফার্মার লেকটু ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনিভাবে সকল কোম্পানির সিরাপ, ট্যাবলেট, ইনজেকশন ক্যাপসুল এর মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকলেও ওষুধের মান বাড়েনি। এদিকে কক্সবাজার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমিন ও শেভরন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, ওষুধের মূল্যবৃদ্ধিতে গরিব রোগীদের পক্ষে ওষুধ কেনা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। যার প্রভাব আমাদের ব্যবসার ওপর প্রতিফলিত হচেছ। কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানান, ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসনের। এ ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু করণীয় নেই। এব্যাপারে কক্সবাজারের ড্রাগ সুপার ইমরান জানান,ওষুধের বাজারে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। র্ফামেসীতে ওষুধের বেশী দাম নেওয়ার অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ড্রাগ আইনের আওয়াতাই এনে শাস্তি মুলক ব্যবস্তা গ্রহণ করবে বলে জানান। এদিকে কক্সবাজরের সচেতন মহলের জোরদাবী অতি শিগ্রই ওষুধের দাম কমিয়ে জনসাধরনের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন