টেকনাফ পৌরসভার উন্নয়নের ছোয়া লাগছেনা : পৌরবাসী নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত

মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী
টেকনাফ (পর্যটন) পৌরসভায় যে সব সমস্যা সুবিধা থেকে বঞ্চিত সে সব সমস্যা লেগেই রয়েছে। তার মধ্যে সুপিয় পানী, গণশৌছগার, যাত্রী ছাউনী, অবৈধ স্থাপনা, ষ্টেশনে যানজাট, বাস্তার উপর ব্যবসা, খোলা ড্রেন, ময়লা আবর্জনা, হোটেল দ্বীপ্লাজার প্রবেশদ্বার বাস্তার উপর পান ও সুপারীর বাজার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ষ্টেশনে বিভিন্ন যানবাহনের অবস্থান, গাড়ীপাকিং, প্রধান সড়কের উভয় পাশ্বে ইট, বালি, কংকর ও স্যানিটেশান সামগ্রীর ব্যবসা, যত্রতত্র বাস ও ট্রাকের অবস্থান
ও যে সেখানে বেঙের ছাতার ন্যায় ষ্টেশন ও রাস্তার উভয় পাশ্বে ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসা গড়ে উটার কারনের পৌরবাসী রীতিমতো দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে। টেকনাফ পৌরসভা ২০০২ সালে স্থাপিত হবার পর ১৩ বছরে পৌরসভার মৌলিক উন্নয়ন এবং নাগরিক সুযোগ সুবিধা পৌরবাসীর ভাগ্যে পরিবর্তন আসেনী। বরংচ পরিবর্তন হয়েছে কান্ডারীদের। পৌরবাসীর এমন অভিযোগ নিত্যদিন। কায়ুকখালী খালের উভয় পাশ্বে প্রভাবশালী ভূমিধর্সু কর্তৃক ভরাট হওয়ার ফলে কয়েকটি পাড়া জলাবদ্ধতার শিকার হয়। পাড়াগুলো হচ্ছে, অলিয়াবাদ, জালিয়াপাড়া। প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলের পানি কায়ুকখালীখাল দিয়ে যেতে না পারায় উক্ত পাড়াগুলো পানিতে ডুবে থাকে। টেকনাফ নাইথং পাড়া থেকে অলিয়াবাদ শাপলা চত্তর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেকনাফ কক্সবাজার সড়কের অবস্থা বেহাল অবস্থা। এ টেকনাফ উপজেলা পরিষদ এর প্রবেশদ্বার গেট হতে টেকনাফ ষ্টেশন পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশ্বে ইট, বালি, কংকর, স্যানিটেশন সামগ্রী, নাসার্রী ও ভাসমান ক্ষদ্র ব্যবসা গড়ে উটার কারণে পথচারী এবং যাত্রীবাহীবাস সহজে যাতায়াত করতে পারেনা। এখানে পানি চলাচলের ড্রেন না থাকার কারণে বর্ষার পানি রাস্তার উপর দিয়ে গাড়িয়ে চলে এবং এতে হাটুপরিমান পানি জমে থাকে। পাড়ার ময়লা আবজর্না মিশ্রিত পানি প্রধান সড়কের উপর চলে আসে এবং পথচারীরা যাতায়াত করতে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। টেকনাফ পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড নাইথং পাড়ায় তৎকালীন বি,্এনপি সরকারের আমলে ১৭ কানি জমির উপর স্থাপিত বাস ও ট্রাক ট্রার্মিনালটি অকার্ষকর অবস্থায়  পড়ে আছে। বাস ও পরিবহন ট্রাক সমূহ বাস টার্মিনাল ব্যবহার করলে ও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকার স্থানীয় ও দুরপাল্লার বাসগুলো মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে টেকনাফ পুরাতন বাস ষ্টেশন ব্যবহার করে আসছে। উক্ত ষ্টেশানে স্থানীয় ও দুরপাল্লার বাসের টিকেট বুকিং কাউন্টার খুলে এখান থেকেই বাস চলাচল করে আসছে। এছাড়া ও মাইক্রো বাস, মিনিবাস, সিএনজি, চাঁদের গাড়ী, টমটম, প্রাইভেট কার, নোহা, রিক্স ও টেলাগাড়ী চলাচল করে থাকে। এতে ষ্টেশনে নিত্যদিন ঝানজটে লেগে থাকে এ সময় জরুরী কোন রোগী হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বিলম্ব হয়। এছাড়াও ষ্টেশনের প্রধান সড়কের উভয় পাশ্বে তরিতরকারী, মাছ, শাকশবজির বাজার স্থাপনা নির্মাণ করে গড়ে উঠেছে। অপরদিকে হোটেল দ্বীপ্লাজার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দ্বীপ্লাজার এর সামনে অথাৎ প্রধান সড়কের উভয় পাশ্বে সাপ্তাহিক পান ও সুপারির বাজার বসার কারনে হোটেল ও বিভিন্ন দোকানের ব্যবসা ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। এসময়ে সড়ক দিয়ে যে কোন যানবাহন চলাচল করতে ভোগান্তি শিকার হয়। প্রতি বছর এভাবে টেকনাফ বাজার নীলাম দিয়ে কোটি কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হওয়ার পরও  উন্নয়নের ছোয়া লাগছেনা। পৌরবাসীর অভিযোগ প্রতিবছর পৌর কর আদায় করার পরও পৌরবাসী নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে একেবারে বঞ্চিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন