ভারুয়াখালীতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। গত এক সপ্তাহে ৩টি বড় ধরণের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। 

স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, ৩০ মে দিবাগত রাত ১০টায় ভারুয়াাখালীর খরিরটেক নামক স্থানে ৪ সিএনজিতে গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সিএনজি ড্রাইভার মিজানুর রহমান জানান, ওই দিন নগদ দেড় লাখ টাকা, ৫টি দামী মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়েছে। 
একই দিন রাতে ভারুয়াখালী হাই স্কুল সংলগ্ন ষ্টেশনে ফার্মেসী ডাকাতি করে নগদ টাকা সহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 
৩১ মে দিন দুপুরে ডাকাতি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি গ্যালাক্সি ট্যাব লুট করে নিয়ে যায়। 
ডাকাতির শিকার ভারুয়াখালী চৌচুলা মুরা আবদুর রহিমের পুত্র জাহিদ উদ্দিন (২৫) জানিয়েছেন, তিনি টাকা কাহাতিয়া পাড়ার এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় নতুন পাড়ার পশ্চিম পাশে ডাকাতির কবলে পড়েন। ডাকাতরা ২টি লম্বা বন্দুক, একটি কাটা বন্দুক ও একটি লম্বা কিরিচ নিয়ে তার উপর হামলে পড়ে। 
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জাহিদ উদ্দিনের ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে স্থানীয় আনুর দোকান এলাকার মোহাম্মদ সওদাগরের পুত্র নবাব মিয়া (২৮) ও ঘোনার পাড়া এলাকার ছব্বির আহমদের পুত্র নাছির উদ্দিন (২৬) তিনি অভিযুক্ত করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ডাক্তার আবুল কাশেম ভূইয়া জানিয়েছেন, দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা আমি জেনেছি। অনেক খুঁজেও অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তিকে পায়নি। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা সভাপতি তৈয়্যব উল্লাহ মাতাব্বর জানান, ভারুয়াখালীতে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়রা ভয়ে দিন যাপন করছে। পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ না হলে ডাকাতি আরো বেড়ে যাবে। 
সুত্র জানায়, ভারুয়াখালী সাবেক চেয়ারম্যান আবু শামার টেক, আনু দোকানের বিপরীত টেকে প্রায় সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ডাকাতির খবর শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন