নাফ নদীতে মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ: আতংকে সাধারণ মানুষ

ফরিদুল মোস্তফা খান: ১৩ দিন ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জিরো পয়েন্টের নাফ নদীর অদুরে মংডু খালে অবস্থান করছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ। এনিয়ে সীমান্তের এপারে বসবাসকারী লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করতে দেখা গেছে।
তবে বিজিবি বললেন, আতংকের কোন কারণ নেই, তারা
তাদের কাজে এসেছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে নিয়মিত।

সূত্রে  জানা গেছে, সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকা বিলুপ্ত করে লুন্টিনকে বর্ডারে নিয়োজিত করেছে। এতে কোনো ধরনের যেন বিশৃংখলা না হয়, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এ যুদ্ধ জাহাজটি পাঠিয়েছেন মিয়ানমার সরকার।

বিজিবি'র পক্ষ থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের নতুন বাহিনী সীমান্তের দায়িত্ব নেয়ার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ৫৫৪ কে নাফ নদীর অদুরে পাঠায় সেদেশের সরকার।

মংডু শহরের বলী বাজার এলাকার ছৈয়দুল বশর নামে এক রোহিঙ্গা মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও মুসলমানদের ওপর নাসাকা বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘের চাপে গত ২ সপ্তাহ পুর্বে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত নাসাকা বাহিনীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে সরকার। এরপরই সীমান্ত এলাকা যথাক্রমে, বলীবাজার, ঢেকিবুনিয়া, ফকিরাবাজারসহ বিভিন্ন ক্যা¤প থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়।

স্থানীয় ছৈয়দ আলম জানান, দীর্ঘকার সময় একটি জাহাজ সমুদ্রে অপেক্ষা করায়, পুরো সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, ৪২ বিজিবি'র অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহিদ হাসান জানান, গত ১৩ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে নাফ নদীর অদূরে এ যুদ্ধ জাহাজটি প্রথম দেখা যায়, পরে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হলে তারা জানায়, সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য তারা এসেছে। বর্তমানে মংডু খালে অবস্থান করছে এ জাহাজটি। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেও তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন