ডেসটিনির ৪১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার


ডেস্ক রিপোর্ট: গত বছরে ৩১শে জুলাই ৩২’শ ৮৫ কোটি টাকা পাচার, রূপাšত্মর ও স্থানাšত্মরের অভিযোগে ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও সভাপতিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি কমিশন (দুদক)। বিনিয়োগকারীদের টাকা ডেসটিনি গ্রুপ বিদেশে পাচার করেছে। এই বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি কমিশন (দুদক)। তদšেত্মর মাধ্যমে মাধ্যমে উঠে এসেছে ৪১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে ডেসটিনি গ্রুপ। এ ছাড়াও ডেসটিনি গ্রুপের অলাভ জনক প্রতিষ্ঠানগুলোর উর্ধতম কর্মকর্তাদের ব্যাংক হিসাবে।বিনিয়োগকারীদের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা স্থানাšত্মর ও পাচারের প্রমাণ পেয়েছে তদšত্ম কমিটি।

দুদক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু জানিয়েছেন, আগামী মাসে ডেসটিনি গ্রুপের বিরুদ্ধে ২টি মামলার চার্জশিট দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কম সময়ে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ডেসটিনি গ্রুপ সংগ্রহ করে ৪ হাজার ২’শ কোটি টাকা। কিন্তু দুদকের তদšেত্ম দেখা গেছে ট্রি-প্লানটেশনের নামে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬ কোটিরও বেশি গাছ বিক্রির নামে টাকা নিলেও গাছ লাগিয়েছে মাত্র ৩৩ লাখের মতো। এই খাতে ২৩’শ ৩৫ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে একইভাবে মাল্টিপারপাসের ১ হাজার ১’শ ৭৮ কোটি টাকা স্থানাšত্মর ও পাচার করা হয়।

ডেসটিনির সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিমান লিস্ট ও যন্ত্রপাতি কেনার নামে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে। এই ভাউচারের নামে ৪১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি তদšত্ম কমিশন (দুদক)। এই ভাবে দীর্ঘ এক বছর তদšেত্ম ডেসটিনি গ্রুপের ট্রি-প্লানন্টেশনের নামে ৩৫’শ কোটি টাকার অনিয়ম পেয়েছে তদšত্ম কমিশন।

দুর্নীতি দমন কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, শুধু দেশে নয়, বিদেশে তারা প্রচুর পরিমাণে টাকা পাচার করেছে। এই সকল অর্থ ব্যক্তির পার্সনাল একাউন্টে চলে গেছে। যার কারণে তারা সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাত করছেন। ডেসটিনির বিরুদ্ধে সকল তদšর আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং এ তদšত্ম প্রতিবেদন প্রকাশ করা যেতে পারে।

এছাড়া তদšত্ম করার সময় ডেসটিনি গ্রুপের ৬’শ ৪১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে জব্ধ করা হয়েছে ডেসটিনির ১’শ ১৬টি গাড়ি। দুর্নীতি কমিশন জানিয়েছেন, ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও সভাপতিসহ অর্থ পাচার, স্থানাšত্মর নিয়ে দুইটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ২২ জন আসামি থাকলেও তদšেত্ম আসামির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।