টেকনাফে শিশুদের দিয়ে রাস্তা মেরামত!

টেকনার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১১নং রঙ্গিখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  কচিকাচা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সড়ক মেরামত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ জুলাই বিকাল ৪টা দিকে ১১ নং রঙ্গিখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল কতৃপক্ষ অনিয়মতান্ত্রীকভাবে
সাধারণ জনতার চলাচলরত কাচা সড়কের কাজ করেছে বলে একাধিক অভিভাকের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমান সরকার খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠায় ব্রত,সেখানে কচিকাচা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কায়েকশ্রম করে সরকারের প্রচেষ্ঠাকে ব্যঘাত করছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন রাখেন, আমার ছেলের বয়স ১০ বছর এখনো শিশু কিভাবে এই শিশুদের নিয়ে অবিবেচক শিক্ষক এমন কাজ করালো? এনিয়ে স্থানীয় মানুষের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। বর্ষার শুরুতেই স্কুল মাঠের সামনে জন চলাচলের একমাত্র সড়কটির দুপাশে বিশাল আকারে ভেঙ্গে যায়। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের ওই সড়কে কাজ না করালে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ জঘন্য কাজটি করেছেন জানান। এলাকাবাসীর প্রশ্ন রাস্তা উন্নয়নের জন্য যে বাজেটের টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় সে টাকা গুলো কোথায় যায় ? তাছাড়া স্থানীয় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে অবুঝ কচিকাচা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কেন এই কাজে উৎসাহ করা হয়েছে এমনও প্রশ্ন উঠেছে বারংবার। আরো জানা যায়,স্কুল উন্নয়ন বাজেটের বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বাজেট না দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ অমানবিক কর্মকান্ড কেন চালিয়েছে? এ বিষয়ে উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক নুরুল আলম আজাদ জানান, বর্ষার পর থেকে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত দুয়েক দিনে ৩ জন শিক্ষার্থী সড়কের ভাঙ্গা গর্তে পড়ে আহত হয়। ঝুকিঁপুর্ণ সড়ক মেরামতে কেউ এগিয়ে না আসায় আমি নিজে ৬০/৭০টি বস্তা ক্রয় করে শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় এ সড়ক মেরামতে এগিয়ে আসি। স্কুল ছুটির পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই মহতি কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।